বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানান মৃতের মা তাজকেরা খাতুন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির উপস্থিতিতে কিশোরীর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। মৃত নাবালিকার মায়ের সমস্ত অভিযোগ পুলিস খতিয়ে দেখছে।
মৃত কিশোরীর মা তাজকেরা খাতুন বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমি ও আমার স্বামী সাহাবুদ্দিন শেখ মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে মেয়ে একাই ছিল। ঘন্টাখানেক বাদে আমাদের ফোন করে জানানো হয় যে মেয়ে মারা গিয়েছে। আমার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল, তার কোনও সমস্যা ছিল না। বাড়িতে ফিরে দেখি মেয়ে খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায়। এরপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি সেদিনই তাকে কবর দেয়। কিন্তু এরপর আমি মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সরব হই। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অমাকে হুমকি দেয় যে বড় মেয়ের মতো আমাকে ও ছোট মেয়েকে খুন করা হবে। আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হানিফ বলেন, জমির লোভে একটি নিষ্পাপ কিশোরীকে অকালে প্রাণ হারাতে হলো এটা খুবই দুঃখজনক। একটি ১২ বছরের মেয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, মৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে কিশোরীর দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।