বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি দাবি করেন, জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল অধিকারী এদিন তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিল করে তাঁর প্রায় দু’বিঘা জমি দখল করেন। এ ঘটনার পর তিনি প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। বিষপান করে নেন। যদিও প্রধান কমল অধিকারী দাবি করেন, ওই জমিটি জিরো খতিয়ানের। ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনের নামে পাট্টাও নেই। এ ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, জোরপাটকিতে দলীয় ঝাণ্ডা লাগিয়ে জমি দখল করার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।
ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পর আমার প্রায় দু’বিঘা জমি দখল করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। সম্প্রতি এ নিয়ে আমি জেলা নেতাদের দ্বারস্থ হই। পুনরায় জমিটি চাষ করার জন্য বেগুনের চারা লাগাই। এদিন সকালে আচমকা বেশকিছু লোক তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে এলাকায় মিছিল করে আমার জমিতে আসেন। আমি তা দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই। বেগুন খেত সহ পাশের ধান খেতে ঝাণ্ডা পুঁতে দেয়। আগে প্রতিবাদ করে অপমানিত হয়েছি। তাই আর প্রতিবাদ করিনি। বাড়িতে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে নিই।
পরিবারের লোকজন ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল অধিকারী বলেন, ধীরেন্দ্রনাথ বর্মনের আর্থিক অবস্থা ভালো। বাম আমলে জিরো খতিয়ানের ওই জমিটি তিনি জোর করে দখল করেছিলেন। জমিটি স্থানীয় একজনের নামে পাট্টা করা রয়েছে। আমরা সেটা জানার পর দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিই, জমিটি ভূমিহীন বাসিন্দাদের দেওয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে এদিন জমিটি দখল করা হয়। এর আগেও তাঁকে জমিটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। এদিন আমরা জমিতে গেলে তিনি কীটনাশক খাওয়ার ‘অভিনয়’ করেন। দলীয়ভাবে যেহেতু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাই দলীয় ঝাণ্ডা লাগানো হয়েছে। অযথা ওই ব্যক্তি মিথ্যে অভিযোগ এনে আমাদের নামে বদনাম করছেন। তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ ব্লক সভাপতি মহেন্দ্র বর্মন বলেন, জোরপাটকিতে জমি নিয়ে কী সমস্যা হয়েছে জানা নেই। জিরো খতিয়ানের জমি হলেও এভাবে দখল করা যায় না।