বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মালদহের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) অমিত কুমার সাউ বলেন, এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস বাহিনী পাঠানো হয়। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালদহ জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, দলের অন্দরে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে প্রধান বা সদস্যরা দলকে জানাতে পারতেন। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন দলেরই ১২ জন সদস্য। তাঁরা প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ওই ১২ জন সদস্যকে মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসন ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকে। তাঁদের সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ব্লক প্রশাসনিক ভবনে উপস্থিত হতে বলা হয়। তাঁরা সাড়ে ৯টার মধ্যে ব্লক প্রশাসনিক ভবনে হাজির হন। কিন্তু অনাস্থার কাগজপত্র ভেরিফিকেশন করার আগেই ব্লক অফিস থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত,এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০টি আসন রয়েছে। ২০ জন সদস্যই তৃণমূলের।
এ ঘটনার পরই বিক্ষুব্ধ সদস্যদের অনুগামী তৃণমূল সমর্থকরা ব্লক চত্বর থেকে ফিরে গিয়ে তেলজান্না এলাকার লোহা ব্রিজে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তাঁরা পুলিসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টুকুমার যাদব বলেন, আমাদের দলের প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসি। অনাস্থার পক্ষে আদালতের রায়ের প্রতিলিপি ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে ২২ জুলাই। বিডিও আমাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকেন। সকালে ১০ জন সদস্য ব্লকে পৌঁছে যান। আমি এবং আরও একজন পরে গিয়ে দেখি, প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল বিক্ষুব্ধ ১০ জন সদস্যকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে। পরে দু’জন মহিলা সদস্য কোনওরকমে পালিয়ে আসেন। এদিন সন্ধ্য পর্যন্ত আটজন সদস্য অপহৃত।
বিক্ষোভকারী হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ সামাউন বলেন, ব্লক চত্বর থেকে ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান ও দলের এক নেতার আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের অপহরণ করেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী ভেরিফিকেশনের জন্য অনাস্থার পক্ষে ১২ জন সদস্যকে এদিন ডাকা হয়। এদিন উপস্থিত সদস্যদের কে বা কারা তুলে নিয়ে গিয়েছে তা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হবে। ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অনাস্থার দিনক্ষণ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।