বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলার ১৩টি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, জেলায় কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। তবুও সংক্রমণের শৃঙ্খল পুরোপুরিভাবে ভেঙে দিতে রাজ্যের নির্দেশে কন্টেইনমেন্ট জোন চালু করে কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা এলাকাগুলি হল কালচিনি ব্লকের মালঙ্গি পঞ্চায়েতের ১১৩, লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৯ এবং কালচিনি পঞ্চায়েতের ১৬৬ নম্বর পার্ট। কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি-২ পঞ্চায়েতের ১৬৫, ১৬৮, ভল্কা-১ পঞ্চায়েতের ৯৮ ও নিউল্যান্ডস-কুমারগ্রাম-সংকোশ পঞ্চায়েতের ৩৮ নম্বর পার্ট। কুমারগ্রামের রায়ডাক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮, খোঁয়ারডাঙা-২ পঞ্চায়েতের ১৩৫, তুরতুরিখণ্ড পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর পার্ট রয়েছে এই তালিকায়। এছাড়াও আছে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের টটপাড়া-১ পঞ্চায়েতের ২৪৬, টটপাড়া-২ পঞ্চায়েতের ২৪৫ ও মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৪ নম্বর পার্ট। তবে জেলায় এখনও মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়নি। আপাতত কন্টেইনমেন্ট জোনই চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় আসা এলাকাগুলিতে স্থানীয় প্রশাসন আজ থেকে নজরদারি শুরু করবে। পুলিস ও স্বাস্থ্যদপ্তর নজর রাখবে। যাতে কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় হোম আইসোলেশনে থাকা সংক্রমিতদের প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক পণ্য ও ওষুধ পেতে কোনও অসুবিধা না হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে ডিসপ্লে বোর্ডে পুলিস ও বিডিও’র টেলিফোন নম্বর লেখা থাকবে। সরকারি গাইডলাইন মেনে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ১৪ দিনের বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। প্রশাসন থেকে প্রচারও করা হবে। প্রয়োজনে বাসিন্দাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও হতে পারে।
গ্রাম এলাকার দিকে কন্টেইনমেন্ট জোন চালু করা হলেও আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় এখনও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। সংক্রামিতের সংখ্যা কোথাও বাড়লে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে পুর ও চা বাগান এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন চালু করা হতে পারে। তারজন্য স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন নজর রাখছে।