বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন পরিদর্শনের সময়ে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন সহ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, তৃণমূল নেতা গিরিন্দ্রনাথ বর্মন প্রমুখ। ভাঙন এলাকা পরির্দশনের পর মন্ত্রী পরেশবাবু বলেন, ভাঙন সমস্যা রোধে সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ওই এলাকায় বাঁধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিন মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে সংবর্ধনা দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ৪০ বছর ধরে আমরা একই সমস্যার সম্মুখীন। বর্ষায় নদীর জলস্ফীতির পর জল নামতে শুরু করলেই পাড় ভাঙতে শুরু করে। এখনই সাউদেরবস গ্রামে, দ্বারিকামারিতে অল্পবিস্তর ভাঙন শুরু হয়েছে। বুড়ি তোর্সার ভাঙনে গত কয়েক বছরে কয়েকশো বাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে একাধিকবার নদীতে বাঁধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ ওই সময়ে কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে তৃণমূল রাজ্যে এলেও বাঁধ হয়নি বলে মন্ত্রীর কাছে এদিন অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ কালাম মিঁয়া বলেন, আমরা বাম আমল থেকে বাঁধ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রচুর জায়গায় নদীবাঁধ দিয়েছে। আমাদের এখানেও বাঁধ হবে ১০ বছর ধরে এই আশায় বুধ বেঁধেছি। কিন্তু বাঁধ হয়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মাথাভাঙার প্রার্থী গিরিন্দ্রনাথ বর্মন এলাকায় এসে বাঁধ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনে হেরে গেলেও এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে এদিন মন্ত্রীকে নিয়ে আসেন। এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী এদিন এলাকা পরির্দশনে করেন। আমরা চাইছি, দ্রুত এলাকায় বাঁধের ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে নদী হয়তো আর ভিটেমাটি গ্রাস করতে পারবে না। এলাকায় বাঁধ না থাকায় প্রচুর চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি সহ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি নদী ভাঙনের সমস্যার কথা জানার পরই এলাকায় আসি। এই মরশুমে নদী ভাঙন সমস্যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় আছে। সেচদপ্তর গত ১০ বছরে প্রচুর এলাকায় বাঁধ দিয়েছে। জেলার একাধিক জায়গায় বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে। সাউদেরবস গ্রামে বাঁধের প্রয়োজন রয়েছে। আমি সেচদপ্তরের জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। এখন বর্ষা চলে এসেছে। তাই বাঁধ দেওয়া সম্ভব না হলেও বর্ষায় আপৎকালীন ব্যবস্থা যাতে করা যায় সেটা বলা হবে।
কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, গ্রামের প্রায় দু’কিমি ভাঙন প্রবণ এলাকা রয়েছে। একবারে না হলেও ধাপে ধাপে বাঁধের কাজ যাতে হয়, মন্ত্রীকে সেই দাবি জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্ষার পরেই এই এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু হবে।
গিরিন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এলাকার মানুষ ভাঙনের সমস্যা নিয়ে জেরবার। এদিন মন্ত্রীকে সঙ্গে করে এলাকা পরির্দশন করেছি। এখানে ভোটে হেরে গেলেও আমরা মানুষের পাশে আছি। প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছি। এখন তাঁদের ওসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি।