বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে যাত্রাডাঙার বাসিন্দা দয়ারাম কিস্কু বলেন, জীবন হাতে নিয়ে রাতবিরেতে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কোনও সময়ে আমরা দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে পারি। চুরি-ছিনতাই অপরাধমূলক কাজ চলছেই। রাতের বেলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় আলো জ্বলে না। সেই সুযোগই তারা কাজে লাগাচ্ছে। তাই পুলিস প্রশাসনের রাস্তায় নজরদারি প্রয়োজন। এবিষয়ে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষবাথানের বাসিন্দা হেনা মুর্মু বলেন, কিছুদিন আগে আমার স্বামীকে দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে। আগেও চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর এলাকার দুষ্কৃতীরা অস্ত্র হাতে চলে আসছে। তারা বহু দূর থেকে এসে এই রাস্তাকে কেন বেছে নিয়েছে, সেটা পুলিসকে খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা চাইছি, নিরাপদে মানুষ যাতায়াত করুক।
এবিষয়ে মালদহ থানার এক পুলিসকর্তা বলেন, প্রতিদিন থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় পুলিসের টহলদারি চলে। তবুও কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যায়। আমরা এনিয়ে সতর্ক। দুষ্কৃতীদের রেয়াত করা যাবে না। মালদহ থানার আইসি হীরক বিশ্বাস বলেন, সব রাস্তায় পুলিসের নজরদারি রয়েছে। আমরা সতর্ক।
পুরাতন মালদহ ব্লকের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক নারায়ণপুর থেকে যাত্রাডাঙা ভায়া গাজোল যাওয়ার গ্রামীণ সড়ক এখন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার ওই রাস্তা সন্ধ্যার পরেই দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায়। আপদে বিপদে কেউ শহর থেকে গ্রামে, অথবা গ্রাম থেকে শহরে গেলে জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কয়েকমাস আগেই যাত্রাডাঙার বলদাহুড়ার ওই সড়কে আদিবাসী যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপর থেকে রাস্তার উপর মাঝেমধ্যেই চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। অনেক মানুষ দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছে। কিছুদিন আগে নারায়ণপুর এলাকা থেকে ধারালো অস্ত্র সহ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। গত চারদিন আগে অস্ত্র হাতে দাপিয়ে বেড়ানোর সময় বাধা দিতে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা এলাকার এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করে। যদিও ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমেনি বলে অভিযোগ। কালিয়াচক থেকে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দুষ্কৃতীরা পুরাতন মালদহের ওই সেফ করিডরে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। ঘটনায় এলাকার মহিলারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা দিয়ে ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাইক অথবা সাইকেলে সওয়ার হয়ে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেকে ওই গ্রামীণ রাস্তায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা দেখেও ভয়ে চুপ করে থাকেন। প্রতীকী চিত্র