বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সম্প্রতি মালদহে ফেরা গৌরচন্দ্রবাবু বলেন, আমার বিশ্বাস জেলা পরিষদের সংখ্যা গরিষ্ঠ নির্বাচিত সদস্যই বিজেপি’র সঙ্গেই রয়েছেন। তবে রাজ্যের শাসকদল বিভিন্ন ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে থাকা সদস্যদের উপরে চাপ তৈরি করছেন। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের কথায়, তৃণমূল ছলে বলে কৌশলে বিজেপি’র নির্বাচিত বোর্ড ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা পরিষদের অধিকাংশ নির্বাচিত সদস্য আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তাঁরা এখনও মানসিকভাবে আমাদের সমর্থন করছেন। কিন্তু তৃণমূল যেভাবে চাপ তৈরি করছে তাতে তাঁদের অনেকের মনের জোর ধাক্কা খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেস মালদহ জেলা পরিষদ দখল করে। ৩৮টি আসনের মধ্যে যে ৩৭টি আসনে ভোট হয়েছিল তাতে তৃণমূল একাই পেয়েছিল ২৯টি আসন। বিজেপি ছয়টি এবং কংগ্রেস দুইটি আসন পেয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ৮ মার্চ কলকাতায় গিয়ে সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে বিজেপি’তে যোগ দেন। রাজ্য বিজেপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয় মালদহ জেলা পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন তাঁদের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু বিধানসভা ভোটে বিজেপি হেরে যেতেই এবার জেলা পরিষদে নিজেদের গরিষ্ঠতা প্রমাণ ও সভাধিপতি পরিবর্তনের বিষয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূলের হবিবপুর এবং বামনগোলা ব্লকের দায়িত্বে থাকা কোঅর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ইতিমধ্যেই ২৩জন নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য সভাধিপতি পরিবর্তনের চিঠিতে সই করেছেন। আরও অনেকেই করবেন। সোমবার আমরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি পরিবর্তন সংক্রান্ত দাবি প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। এছাড়াও বামনগোলার পরে বিজেপি পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের দখলে আসতে চলেছে বলে দাবি করেন হেমন্তবাবু। একাধিক বিজেপি’র নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যও ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে তাঁর দাবি।