বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, কোচবিহার শহরের ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে ভোটার তালিকা বিতরণ করা হয়েছে। এবার ওয়ার্ডগুলি থেকে পোলিং এজেন্টদের নাম চাওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সেই নাম জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যান্য বিধানসভাতেও ভোটার তালিকা পাঠানো হয়েছে। তারাও পোলিং এজেন্টদের নাম সংগ্রহ করবে। দুয়ারে সরকারের দ্বারা মানুষ কতটা সুফল পেল তা জানতে আমরা এবার বাড়ি বাড়ি যাব। আমাদের কাছে একটি ফরম্যাট রয়েছে। সেই ফরম্যাটে তাদের বক্তব্য নথিবদ্ধ করা হবে। কোন প্রকল্পের কাজ কতটা হয়েছে, মানুষ কতটা সন্তুষ্ট তা জানার চেষ্টা করা হবে। প্রতিটি বুথের সভাপতির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি চলবে ১-১০ ফেব্রুয়ারি।
কোচবিহার জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ভালো সাড়া পড়েছে। বহু মানুষ সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। এবার জনসংযোগকে আরও নিবিড় করতে তৃণমূল জেলার প্রতিটি বাসিন্দার বাড়িতে পৌঁছতে চাইছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তার খতিয়ান তা দলের কর্মীরা সংগ্রহ করবেন। সেই সময় তাঁদের হাতে থাকবে ফিডব্যাক ফর্ম। পাশাপাশি ভোটার তালিকাও হাতে থাকবে। গত লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করার পর থেকে তৃণমূল বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। জেলার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাতছাড়া হয়েছিল। অনেক এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা অফিসে ঢুকতে পর্যন্ত পারছিলেন না। এই পরিস্থিতি যখন জেলাজুড়ে চলছে, সেই সময় দলের পক্ষ থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। বেশ কিছু দিন সেই কর্মসূচি চলার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এরপর একের এক দলীয় কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তৃণমূল আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। এবার সেই কর্মসূচির সুফল মানুষ কতটা পেল, আরও কী প্রয়োজন রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একেবারে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল।