বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সেভাবে হানাহানির খবর না মিললেও বাগযুদ্ধে তপ্ত পাহাড়ের রাজনীতি। মূলত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সভা পাল্টা সভার রাজনীতি চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে মাটিগাড়া থানার পুলিসের হাতে কালিম্পংয়ের অস্ত্র কারবারি সহ বিহারের বাবা-ছেলের গ্যাং ধরা পড়ায় বিভিন্ন মহলে আলোড়ন পড়েছে। শুক্রবার মাটিগাড়া থানায় এসে ধৃতদের জেরা করেন কালিম্পং জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মহম্মদ আজিজ ও কালিম্পং থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কখনও কালিম্পংয়ের অস্ত্র কারবারিকে এককভাবে, আবার কখনও বাবা-ছেলে গ্যাংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে ওই কারবারিকে জেরা করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে তারা কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের বাবা-ছেলের গ্যাংয়ের সঙ্গে কালিম্পংয়ের অস্ত্র ব্যবসায়ী রাহুল ত্রিকত্রির যোগাযোগ অনেকদিনের। সে এবার নমুনা হিসেবে নগদ টাকায় বাবা-ছেলের গ্যাংয়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এক পিস সেভেন এমএম পিস্তল। তা পাহাড়ের কোনও মাতব্বরের কাছে হস্তান্তর করা হতো। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্রের আরও কনসাইনমেন্ট সংগ্রহ করত সে। এ জন্য কয়েকদিনের মধ্যেই সে ওই গ্যাংকে বরাত দিত। ভোটের সময় চমকে, ধমকে এলাকা দখল করতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। এদের পিছনে হয়তো বড় কোনও মাথা রয়েছে। কালিম্পং পুলিসের এক অফিসার বলেন, ধৃত রাহুলের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ও মাদক কারবার সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। সে কীভাবে বিহারের ওই গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে, আগে কখনও আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করেছে কি না এসব বিষয় জানার চেষ্টা চলছে। কালিম্পংয়ের অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার মাটিগাড়া থানার পুলিস শিবমন্দির থেকে কালিম্পংয়ের অস্ত্র কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন ধৃতের দেওয়া তথ্য অনুসারে ফাঁসিদেওয়া মোড় থেকে সুমন চৌধুরী, ভানু কুমার ও মহম্মদ সাদ্দাম আলমকে নামে আরও তিন অস্ত্র কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। শুধু কালিম্পং নয়, এদিন ধৃতদের দার্জিলিং জেলা পুলিস, শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের শীর্ষ অফিসাররা এবং গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা দফায় দফায় জেরা করেছেন। পুলিস সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে দু’জন বাবা-ছেলে। তারা হল সুমন ও ভানু। ধৃত বাবা-ছেলে হকারি সহ নানা ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র কারবারের নেটওয়ার্ক চালায় বলে জানা গিয়েছে। এরা সম্ভবত শিলিগুড়ি সহ আশপাশ এলাকায় অস্ত্র প্রস্তুতের কারখানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল। এ জন্য একাধিকবার তারা এই শহরে এসেছে।