বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে আর নয় অন্যায় কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুথভিত্তিক সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেওয়াল দখল করার জন্য। ফাঁকা দেওয়ালে দলীয় প্রতীক পদ্ম ফুল আঁকিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য প্রস্তুত করে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো কর্মীরা কাজও করছেন। সময় হলেই প্রার্থীর নাম লিখে ভোটপ্রচারে শান দেবে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপির এই তাড়াহুড়োকে বিশেষ পাত্তা দিতে চাইছে না তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, সম্প্রতি গঙ্গারামপুর শহরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় জনসমাগম দেখে ঘাবড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই তারা শেষরক্ষা করতে এখন থেকেই দেওয়াল দখল করতে চাইছে।
বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেওয়াল লিখন করে প্রচারের নির্দেশ আমাদের রাজ্যস্তর থেকেই দেওয়া হয়েছে। আর নয় অন্যায় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে প্রতিটি বুথ স্তরে কর্মীদের দেওয়াল দখল করে পদ্ম ফুল এঁকে রাখতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ও প্রার্থী ঘোষণা হলেই আমরা জেলাজুড়ে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়ব। জেলাস্তর থেকেই প্রতিটি বুথে কর্মীদের জন্য রং-তুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপির এই সক্রিয়তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই নিজের নিজের মতো কর্মসূচি থাকে। বিজেপির কর্মীরা এখন থেকে দেওয়াল লিখতেই পারেন। তবে দেওয়াল এখন থেকে দখল করলেই হবে না। সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুমতি পত্র দেখাতে হয়। আমরা ঠিক সময় আমাদের দেওয়াল লেখা শুরু করব। এখনও নির্বাচনের দিনই ঠিক হয়নি। প্রচারে এগিয়ে থাকার বিষয় নয়, জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মনে এগিয়ে রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে সাধারণ মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল জেলার প্রত্যেকটি বুথ থেকে অঞ্চল স্তরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কর্মীরা নিয়মিত এলাকায় এলাকায় জনসংযোগের কাজ করছেন। সময় মতো আমরাও দেওয়াল লিখন শুরু করব। এদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্যের জবাবে সুকান্তবাবু পাল্টা বলেন, জিতব আমরাই। তাই ভোটে জেতার জন্য যা যা পরিকল্পনা নেওয়ার, তা এখন থেকেই নিচ্ছি।