বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লক সদরের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা পুরাতন বাজার। এই বাজারের কেন্দ্রে রয়েছে ট্রাফিক মোড়। এই ট্রাফিক মোড়ে বড় সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলি বাঁক নিতে সমস্যায় পড়ে। অপর দিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ট্রাফিক মোড়ে টোটোর দৌরাত্ম্য লেগে থাকে। টোটোগুলি এখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ছোট গাড়িগুলিও সমস্যায় পড়ে। এর জেরে এখানে দিনভর যানজট থাকে। বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা যানজটের কবলে পড়ে বিরক্ত হন। অনেকে আবার যানজটের ভোগান্তির ভয়ে এই বাজারে আসতে চান না। বাসিন্দাদের দাবি, এই ট্রাফিক মোড় দ্রুত সম্প্রসারণ করা হোক। তবে এখানে রাস্তার পাশে থাকা দোকানগুলির কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখানে ফলের দোকান, পানের দোকান সহ নানা দোকান রয়েছে। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, ট্রাফিক মোড়ের সম্প্রসারণ হোক, সেটা আমরাও চাই। মোড়ের আশপাশে যেসমস্ত দোকান রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যপারে জেলা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ময়নাগুড়ি-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সেন বলেন, ট্রাফিক মোড় সম্প্রসারণের জন্য আমরা গণস্বাক্ষর অভিযান করেছিলাম। কিন্তু এই ট্রাফিক মোড় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে। আমাদের গণস্বাক্ষর সংগৃহীত কপি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, ট্রাফিক মোড় সম্প্রসারণ করা হলে সবারই সুবিধা হবে। আমরা চাইছি ওই এলাকায় আমাদের যে সব ব্যবসায়ী রয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হোক। আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। স্থানীয় বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। বাজারে জেলা পরিষদের অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। কিন্তু বর্তমান শাসক দলের নেতাদের এনিয়ে হেলদোল নেই। এই ট্রাফিক মোড় দ্রুত সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হোক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।