বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বালুরঘাটের ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, প্রতিবছর বোল্লা কালীপুজোর সময় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিস মোতায়েন করা হয়। এবছরও তা করা হচ্ছে। বোল্লায় ঢোকার জন্য চারটি রাস্তাতে আমরা ব্যারিকেড দিচ্ছি। পাশাপাশি মন্দির চত্বর বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। যেভাবে প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, সেভাবে সব ব্যবস্থা করা হবে।
বোল্লা পুজো কমিটির ম্যানেজার সঞ্জয় সরকার বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ আমরা পালন করব। পুজোর আয়োজন করতে যত জন প্রয়োজন, সেই সামান্য সংখ্যক কয়েকজনই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করবেন। জমায়েত এড়াতে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে পুজো লাইভ দেখানো হবে। বৃহস্পতিবার সেই ফেসবুক পেজ থেকে দর্শনার্থীদের প্রতিমার শেষ প্রস্তুতি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। এদিনও মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
অন্যান্য বছর পুজোর আগের দিন মন্দির চত্বর সুন্দর করে সেজে ওঠে। এবারও মন্দির সাজানোর কাজ চলছে। বিগত বছরগুলিতে পুজোর আগে থেকেই এলাকায় আসা মেলার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের ভিড়ে গমগম করে জায়গা। এবছর বোল্লায় গিয়ে দেখা গেল, মন্দির চত্বরে অন্যান্যবারের তুলনায় ভিড় অনেক কম। তবে পুজোর আগেই এদিন মন্দির চত্বরে বেশ কিছু দর্শনার্থীকে দেখা গিয়েছে।
করোনার জেরে এবার চারদিনব্যাপী মেলা বন্ধ। অন্যদিকে, পাঁঠাবলি, মানতের কালীপুজোও বন্ধ। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে অন্যান্যবার। তবে এবছর করোনার জেরে মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বালুরঘাট-গাজোল ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বোল্লায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে পতিরাম বিএসএফ গেট, খাসপুরের মতো এলাকা থেকে বোল্লায় ঢোকার রাস্তার মুখে দেওয়া হচ্ছে ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেডগুলির দেখভালের দায়িত্বে থাকছে পুলিস প্রশাসন। এছাড়াও মন্দির চত্বরের চারপাশে পুলিস মোতায়েন থাকবে। সর্বাধিক ২০০ জন মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন।