বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শাসক দলের একজন বিধায়ক এত দীর্ঘসময় ধরে ফোন বন্ধ রেখে কোথায় রয়েছেন, কেনই বা তিনি এভাবে রয়েছেন, তা নিয়ে কোচবিহারে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ আবার মনে করছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এড়াতেই মিহিরবাবু দলের কারও কাছে এখনই ধরা দিতে চাইছেন না। সেই কারণেই তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন।
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমরা ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এর বাইরে এখনই কিছু বলছি না। অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে মিহিরবাবু প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে শিলিগুড়িতে আছি। ওঁর সঙ্গে বিজয়া করা বাকি রয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যেই বিজয়া করব।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, মিহিরবাবু তাঁর ব্যক্তিগত কোনও কাজে বাইরে থাকতেই পারেন। এতে ভাবনার কিছু নেই। তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।
গত বৃহস্পতিবার মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়ে প্রায় দেড়ঘণ্টা ছিলেন কোচবিহারের সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিক। তারপরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রবিবাবু ও বিনয়বাবু। কিন্তু সেই সময় মিহিরবাবুকে তাঁরা কোচবিহারের বাড়িতে পাননি। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, মিহিরবাবু আলিপুরদুয়ারে বোনের বাড়ি বিজয়া করতে গিয়েছেন। দুই মন্ত্রী সেখানে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন মিহিরবাবু তাঁর দিদির সঙ্গে দেখা করতে অসমে চলে গিয়েছেন। হতোদ্যম দুই মন্ত্রী এরপর কোচবিহারে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়ে যায়, দুই মন্ত্রী শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই মিহিরবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মিহিরবাবু সেই আলোচনা এড়াতেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।
জেলায় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরেই মিহির গোস্বামী ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তারপর ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধেও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসব ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান করার সম্ভবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে নিশীথবাবু তাঁর বাড়িতে যাওয়ায় সেই জল্পনা আরও উস্কে ওঠে। এরপরের দিনই দুই মন্ত্রী গিয়ে তাঁর নাগাল না পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মিহিরবাবুকে ঘিরে এত রহস্য দানা বাঁধলেও এদিনও তাঁর ফোন স্যুইচ অফ ছিল। ফলে তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিজস্ব চিত্র