বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতে পুজো নিয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করে হাইকোর্ট থেকে রাজ্য সরকার। ভিড় এড়াতে পুজো মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড বসানো হয়। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত বিধিনিষেধ মানলেও সোমবার দশমীতে বেলাগাম হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন দুপুর থেকে শহরের লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত বিসর্জন চলে। মূলত বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঘাটে ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না। তাঁরা গায়ে গায়ে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। পুলিস ও প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে মাইকে অনুরোধ করলেও দর্শনার্থীরা কর্ণপাত করছিলেন না। যুবক-যুবতীদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, পুজোর আগেই প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করে পুলিস ও প্রশাসন। তারা জানিয়ে দিয়েছিল, প্রতিমা সহ ট্রাক এবং পুজো কমিটির ১৫ জন করে সদস্য ঘাটে আসবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। মহানন্দা নদীর কোনও ঘাটেই সেই সব বিধি নিষেধ মানা হয়নি। এমনকী অনেক জায়গায় পুজো মণ্ডপে মহিলাদের সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, পুলিস ও প্রশাসন নির্বিকার হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় অবশ্য বলেন, লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাট বাদ দিয়ে মহানন্দা নদীর অন্যান্য ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে তেমন ভিড় হয়নি। লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটেও ভিড় বিগত বছরগুলির তুলনায় কম ছিল। পুলিসের সহযোগিতায় তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটগুলির মধ্যে অন্যতম জোড়া মহানন্দা সেতুর নীচে লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাট। মঙ্গলবারও সংশ্লিষ্ট ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এদিন অবশ্য তেমন ভিড় ছিল না। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথম দিনই সংশ্লিষ্ট ঘাটে ২০০টিরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এদিন আরও ১০০টির মতো প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। আজ, বুধবারের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন হবে। পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, বিসর্জনের প্রথমদিন লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। পুলিসকে দিয়ে তা সামাল দেওয়া হয়। মাস্কহীন দর্শনার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হয়। মাস্কহীন অনেক দর্শনার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই পুলিস, প্রশাসন ও পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। তবে আসন্ন কালীপুজো ও ছটপুজোয় যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে। এ জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
শুধু বিসর্জন ঘাট নয়, পুজোর সময় শহরের বিভিন্ন মাঠে এবং রাস্তার পাশে খাবার দোকানে দর্শনার্থীরা জটলা পাকান। এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি ফাইট করোনা নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিমেষ বসু বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশাসনের আবদনে অধিকাংশ পুজো কমিটি সাড়া দিয়েছে। কিন্তু দর্শনার্থীদের একাংশ বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলেছেন। পুজো মণ্ডপে ভিড় না হলেও মাঠে, খাবারের দোকানে, বিসর্জন ঘাটে তাঁরা ভিড় করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র