বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জিলা মার্ডির স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। সে নিজের কাঁচা ঘরে একাই থাকত। সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় ওই এলাকারই বাসিন্দা মঙ্গল টুডু তার ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে সে সঞ্জিলাকে জড়িয়ে ধরে। সঞ্জিলার বিছানার পাশেই দাঁ রাখা ছিল। সেই দাঁ দিয়ে অন্ধকারের মধ্যেই সে আঘাত করে মঙ্গলকে। বারবার আঘাত করে তাকে কুপিয়ে খুন করে সে। মৃতদেহের দু’পায়েই ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত বের হওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিন মৃতের পরিরারের লোকেরা গোয়ালপোখর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি শচীন মক্কর বলেন, ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমিকভাবে মনে হচ্ছে রাতে মাটি খুঁড়ে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ব্যক্তি মহিলার ঘরে ঢুকেছিল। তখন হয়ত মহিলা অন্ধকারে তাকে চিনতে পারেনি। পাশেই দাঁ রাখা ছিল। তা দিয়েই খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সে পেশায় গাড়ি চালক। ধৃত সঞ্জিলা বছর চল্লিশের বিধবা মহিলা। সে তার ভাইয়ের বাড়ি লাগোয়া নিজের ঘরে একাই থাকত। চা বাগানের পাতা কাটার কাজ করত।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অর্জুন টুডু বলেন, সোমবার পাড়ার এক বাড়িতে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে মঙ্গল ও সঞ্জিলাও উপস্থিত ছিল। সেখানে তারা খাওয়াদাওদার পরে মদ্যপানও করেছে। সন্ধার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হয়। সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। এর পরে রাতে আমি খুনের খবর পাই। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকেছে বলা হচ্ছে। কিন্তু যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে তা দিয়ে মঙ্গলের আকারের কারওর ঘরে ঢোকা মুশকিল। পরিকল্পনা করেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে মৃতের শরীরে মাটি লেগে ছিল।
মৃতের মামা লক্ষ্মীরাম টুডু বলেন, মঙ্গলের সঙ্গে ওই মহিলার কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু সে কি করে এবং কেনই বা তার ঘরে গেল এবং কেন তাকে খুন করা হল, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।