বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও আক্রান্ত কীভাবে ছাদে উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে সেফ হোমের আবাসিকরা জানিয়েছেন, সেফ হোমে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। আইটিআই কলেজে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা থাকলেও কমন টয়লেট রয়েছে। এদিন ভোরের দিকে ওই ব্যক্তি এক আক্রান্ত মহিলার হাত ধরে টানাটানি করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা চিৎকার করতেই ওই ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। সেফ হোমে থাকা অন্য আক্রান্ত ব্যাক্তিরা মহিলার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান। ওই মহিলা বংশীহারি ব্লকের নওয়াপাড়ার বাসিন্দা। মৃতের পরিবার অবশ্য এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
বংশীহারির বিডিও সুদেষ্ণা পাল বলেন, আমরা সকালে জানতে পেরেছি আইটিআই কলেজের সেফ হোমে এক আক্রান্ত ব্যক্তি দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমরা গিয়ে দেখি তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেফ হোমে নিরাপত্তা রয়েছে। আক্রান্তদের সুবিধার জন্যই ছাদ খোলা রাখা হয়েছিল। এখন থেকে সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে, নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হবে। বাকি আর অন্য ঘটনা কিছু জানা নেই।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, মৃত করোনা আক্রান্ত হয়ে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। মানসিক অবসাদে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তাঁর পরিবারের সম্মতিতেই সেফ হোমে নিয়ে এসেছিলাম। ওই ব্যক্তি পজিটিভ হয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, কারও কথা শুনছিলেন না। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল আমরা তদন্ত করে দেখছি। বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের ভাই সুশান্ত মাহাত বলেন, দাদা মানসিক রোগী নন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর একটু মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।