দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, অন্যান্যদের মতো করোনায় পুলিস কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। ব্যারাকে একসঙ্গে অনেক পুলিস কর্মীকে থাকতে হয়। একজনের থেকে যাতে অন্যান্যরা দ্রুত সংক্রামিত না হন তারজন্য আমরা ব্যারাক খালি করছি। প্রয়োজনীয় ভবনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। জেলাশাসক আমাদের জন্য কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে দিয়েছেন। সেখানে কর্মীদের রাখা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে পুলিস লাইনে একটি নতুন ব্যারাকের উদ্বোধন করা হয়। সেখানেও বাহিনীর কর্মীদের রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় পুলিস সামনের সারিতে থেকে কাজ করছে। লকডাউন বলবৎ করতে পুলিস কর্মীদের ঘাম ছুটছে। করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি, মৃতদেহ সৎকার, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সহ নানা কাজ পুলিসকে করতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের মতোই পুলিসেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সর্বদা থাকছে। মালদহে কর্মী এবং আধিকারিক মিলিয়ে মোট ২৫০ জন খাকি উর্দিধারী ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে ৪৪ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। অনেকে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে কাজে যোগ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পুলিস লাইনে প্রথম করোনা ভাইরাস হানা দেয়। জলপাইগুড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে আসা এক মহিলা কনস্টেবল প্রথম আক্রান্ত হন। তারপর পুলিস লাইন কার্যত করোনার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়। এখনও মাঝেমধ্যেই পুলিস লাইনের আবাসিক জওয়ানরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে সেখানে যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য পুলিস কর্তারা সজাগ হন। কারণ কোনওভাবে পুলিস লাইনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা মুশকিল হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। সেই কারণে ধাপে ধাপে ব্যারাক সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। অস্থায়ী ব্যারাকে সবধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হচ্ছে। সেখান থেকেই পুলিস কর্মীরা কর্মস্থলে পৌঁছচ্ছেন। আবার ডিউটি সেরে অস্থায়ী শিবিরেই ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে, মালদহের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) হোসেন মেহেদি রহমান একজন চিকিৎসক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বাহিনীর শারীরিক সুস্থার বিষয়টিও তিনি খেয়াল রাখছেন। পুলিস কর্মীদের জন্য পুরাতন মালদহের পথের সাথীতে সেফ হোম খোলা হয়েছে। সেখানে তিনি নিয়মিত পরিদর্শন করছেন। করোনা আক্রান্ত পুলিস কর্মীদের খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শও তিনি দিচ্ছেন। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, সারা বছরই আমাদের দৌড়ঝাঁপ করে কাজ করতে হয়। ফলে কাজের মধ্য দিয়েই শারীরিক কসরত হয়ে যায়। তাছাড়া সিংহভাগ পুলিস কর্মী নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। ফলে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও করোনা মোকাবিলায় গরম চা, হলুদ প্রভৃতি খাওয়ার জন্যও পুলিস কর্মীদের বলা হচ্ছে।