বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কালীতলা ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, এবছর আমাদের পুজো ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে। ইচ্ছে ছিল খুব জাঁকজমক করে মাতৃ আরাধনা করার। কিন্তু করোনা অতিমারীর আবহে ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। এমনকী রাবণ বধ অনুষ্ঠানও বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন খারাপ লাগছে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমরা অসহায়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সামাজিক দূরত্বের বিধি বজায় রাখতে গিয়েই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর দিন রাবণ বধ অনুষ্ঠানটি হয় মালদহের ডিএসএ মাঠে। জেলার হাজার হাজার মানুষ এই আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে ছুটে আসে। আতসবাজির মাধ্যমে বিশালাকার রাবণ-দহন উপভোগ করেন আমজনতার পাশাপাশি জেলার ভিআইপিরাও। ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবধান দূরে সরিয়ে রেখে সব শ্রেণীর মানুষ পাশাপাশি বসে অংশ নেয় এই অনুষ্ঠানে।
দীর্ঘ ২৫ বছরের অনুষ্ঠান করোনার জন্যই বাতিল হতে চলেছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কালীতলা ক্লাবের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, কোনও রকম আড়ম্বর থাকবে না প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জাতেও। মাতৃ আরাধনার জন্য যেটুকু প্রয়োজন শুধু তাই করা হবে। একই সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাতিল করা হয়েছে পংক্তি ভোজনের ব্যবস্থাও। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মাটির ভাঁড়ে করে বাড়িতে বাড়িতে মায়ের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে বাড়িতে।
শুধু কালীতলা ক্লাবই নয়। একই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে গোলাপট্টির বিখ্যাত দুর্গাপুজোর আয়োজকরাও। শতবর্ষ পেরিয়ে আসা এই পুজোর আয়োজনও অনাড়ম্বর হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন এই পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা অরুণেন্দ্র চৌধুরী। তাঁরও বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই সাবধানতা। তাই জাঁকজমক খুব একটা থাকছে না এবার।
এছাড়াও বালুচর কল্যাণ সমিতির পুজোতেও প্রতিবারের মত জৌলুস এবার থাকছে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। মালদহ শহরের অন্যতম পুজোর আয়োজক এই ক্লাবের কর্তাদের বক্তব্য, আনন্দ থাকুক। তবে সুরক্ষা বিধি মেনে। মা দুর্গার কাছে আমাদের একমাত্র প্রার্থনা মহিষসুরের মতোই বধ কর করোনাসুরকেও।