বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ডিজিটাইলেজেশনের যুগে নাগরিকরা যেন ঘরে বসেই দ্রুত পুর পরিষেবা পেতে পারেন, তার দিকে নজর রেখেও এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে মিউটেশন, ট্যাক্স ও অ্যসেসমেন্ট দপ্তরকে আনা হচ্ছে এই অনলাইন পরিষেবার আওতায়। একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু করেছে। অনলাইনের পথে হাঁটতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন। তাঁর দাবি, এতে করে নাগরিকরা পুরসভাতে না এসেও সময় বাঁচিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন। আবার পুরসভার কাজে পুরোপুরি স্বচ্ছতা আসবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্রমে ক্রমে পুরসভার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলিও এই অনলাইন পরিষেবার আওতায় আনার চেষ্টা চলবে। পুরসভার ভেহিকেলস সহ বেশ কিছু দপ্তর নিয়ে এর আগে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়া, ট্যাক্স নির্ধারণ, মিউটেশন, ট্রেড লাইসেন্স, জঞ্জাল নিষ্কাশন সহ বেশ কিছু বিভাগে বড়সড় দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেসব অভিযোগ নজরে এসেছে পুর কর্তৃপক্ষেরও। তারপরেই এই অনলাইন পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর এক প্রবীণ সদস্য।
তবে ডিজিটাল পরিষেবা চালু হলেও এখনই অ্যাপ চালু হচ্ছে না বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
নাগরিকদের অনেকেরই বক্তব্য, অনলাইন পরিষেবা চালু হলে যদি ঘরে বসেই ট্যাক্স জমা দেওয়া বা অন্যান্য জরুরি কাজ সেরে ফেলা যায়, তাতে সুবিধাই বেশি। প্রবীণ নাগরিক দিপালী কুণ্ডু বলেন, আমি একাই থাকি। শারীরিক কারণে ট্যাক্স জমা দিতে পুরসভায় যাওয়া বড় সমস্যার ব্যাপার। অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলে আমার মেয়েকে দিয়ে এই কাজ সারতে পারি ঘরে বসেই।
অন্যদিকে, কলেজ পড়ুয়া দিবাকর ঘোষ বলেন, পুরসভার উচিত ছিল অ্যাপ চালু করা। অনেকের হাতেই এখন স্মার্টফোন রয়েছে। অ্যাপ থাকলে রাস্তায় চলতে ফিরতে আমরা এই কাজ করে ফেলতে পারি।
তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসকমণ্ডলীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার দুলালনন্দন চাকি বলেন, বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন প্রায় সাড়ে তিন বছর এই পুরসভারই চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন তাঁর স্বচ্ছতার কথা মনে পড়েনি কেন? এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।