বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের কাজকর্ম নিয়ে যে একাধিক অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে যাচ্ছে তা নিয়ে জেলাশাসক বিডিওকে সতর্ক করেন। পাশাপাশি যেসব পরিযায়ী শ্রমিকদের এখনও জবকার্ড নেই তাঁদের তা দ্রুত দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন জেলাশাসক। বৈঠকের পর জেলাশাসক সাহেবগঞ্জে দিনহাটা-২ ব্লককে নিয়ে বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিডিওর বিরদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আবুয়াল আজাদ বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির ১০০ দিনের কাজ সহ গ্রামে ফেরা সকল শ্রমিক যাতে কাজ পান সেই ব্যবস্থা করার জন্য জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়ও অনেক কাজ নিয়ে আমাদের অভিযোগ ছিল। সেগুলিও আমরা তাঁকে জানিয়েছি।
জেলাশাসক বলেন, ১০০ দিনের কাজে গতি আনতে ব্লকে ব্লকে কাজের গতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেজন্যই এদিনের এই বৈঠক। দিনহাটায় আমরা জুলাই মাসের কর্মদিবস ইতিমধ্যেই পূর্ণ করতে পরেছি।
অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজ না পেয়ে দিনহাটা-১ ব্লক অফিসের সামনে কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা এদিন অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে তাঁরা পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। সরকার তাঁদের ১০০ দিনের কাজ দেওয়ার কথা বললেও এখনও পাননি। দ্রুত কাজ পাওয়ার দাবিতে এদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পরে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবস্থান উঠে যায়।
বড় আটিয়াবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এজারুল মিঁয়া বলেন, আমরা কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি। আজ পর্যন্ত আমারা ১০০ দিনের কোনও কাজ পাইনি। শুনেছি অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাল, ডাল সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গ্রামে কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে কিছু দেওয়া হয়নি। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। বাধ্য হয়ে এদিন আমরা অবস্থানে বসেছিলাম।