বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পুরাতন মালদহের বিডিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর একের পর এক অফিস কর্মী ও জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হন। বিডিও অফিস থেকে সংক্রমণ মালদহ মেডিক্যালের রিপোর্টে প্রতিদিন কমবেশি ধরা পড়ছে। ২৪ জুন পুরাতন মালদহ বিডিও অফিসে করোনা হানা দেয়। তারপর থেকে তালিকা ক্রমশ লম্বা হয়ে গিয়েছে। ২৮ জুন বিডিওর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির নেতা। ২৯ জুন বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আক্রান্ত হন। ওই কর্মী সভাপতির ঘরে বসতেন। ৩০ জুন বিডিও অফিসের সংস্পর্শে এসে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন সভাধিপতি সহ তাঁর স্বামী আক্রান্ত হন। ওইদিন পুরাতন মালদহে সাত জন আক্রান্ত হন। ২ জুলাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ তাঁর স্বামী, অফিস কর্মী, ক্যান্টিনের পরিচালক সহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন। গত শুক্রবার ভিডিও অফিস থেকেই আক্রান্ত হন ব্লক তৃণমূলের কনভেনর। শনিবার বিডিও অফিস থেকে সংক্রমিত না হলেও পুরাতন মালদহ শহরে এক মহিলার শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে।
এদিকে, বিডিও অফিস থেকে একের পর আক্রান্তের খবরে কর্মী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভবিষ্যতে ফের যাতে কোনও কর্মী আক্রান্ত না হন সেব্যাপারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে ভুক্তভোগীদের একাংশ দাবি করেছেন। এদিকে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হওয়ায় জেলা তৃণমূলের বেশকিছু নেতা-নেত্রী ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে মালদহ তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুর বৈঠক করেন। জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনিও কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। জনপ্রতিনিধিরাও ওই বিডিও অফিস থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মা বলেন, জেলা সভানেত্রী সহ বেশ কয়েক জন নেতা বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।