বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইতিমধ্যেই ডালখোলার ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি সেই পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসা ৫০ জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃতের প্রতি শোকজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় মাছ বাজার বন্ধ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার ডালখোলা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ পাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেই খবর পেতেই স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে করণদিঘি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আভাষ রায়, ডালখোলা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান রহমান আলি, ডালখোলা থানার ওসি মনজিৎ দাস, পুরসভার কোভিড ১৯’র নোডাল অফিসার শুভদীপ নন্দী সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা লোকনাথ পাড়ায় যান। সেখানে মৃতের পরিবারের সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম এদিন এলাকায় গিয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে পুরসভার কর্তারা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় গিয়ে মৃত করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকেদের খুঁজে বের করেছেন। এলাকা আগেই স্যানিটাইজ করা হয়েছে। আবারও তা করা হচ্ছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
নোডাল অফিসার বলেন, মৃতের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও দু’জন আত্মীয় ছিলেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠান হয়েছে। মৃতের বাড়িকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। মৃতের ছেলে শিলিগুড়িতে আছে। সে ফিরলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাবে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৫০ জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। মৃত ব্যক্তি প্রথমে ডালখোলার একজন চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সেই চিকিৎসককেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, মৃত ব্যক্তি মাছের ব্যবসা করতেন। ফলে শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে কি কি করণীয়, তা স্থির করতে আমরা সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করব।
প্রসঙ্গত, নিচিতপুট এলাকায় বাইপাসের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় ভিন রাজ্য থেকে আসা মাছের গাড়িগুলি থেকে পণ্য খালাস করা হয়। তারপর সেখান থেকে মাছ চালান দেওয়া হয় স্থানীয় একাধিক বাজারে। সেই নিচিতপুটেই ব্যবসায়িক সূত্রে আনাগোণা ছিল ওই যুবকের। তাঁর মৃত্যুর পরেও অবশ্য সেই মাছ বাজার বন্ধ রাখার কোনও পরিকল্পনা নেই ব্যবসায়ীদের। ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানান হয়েছে, সেই এলাকার সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখনই বাজার বন্ধ করা হচ্ছে না।