বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অভিযোগ, এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা মিলে রাস্তার ধারে থাকা একটি গাছের ডাল কাটতে গাছে ওঠে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে একটি বাইকে চেপে ওই শিশু ও আরও তিনজন যাচ্ছিল। আচমকা ওই গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় এই বিপত্তি হয়। ঘটনায় মৃত পরিবারের পক্ষ থেকে তপন থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই যাঁরা গাছ কাটছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ওই পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
তপন থানার ওসি সৎকার সাংবো বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই শিশুর বাবার নাম তরুণ রায়। তিনি প্রতিবন্ধী। বাড়ি গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বসাকবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার বাড়ি থেকে তাঁর এক ভাইয়ের বাইকে স্ত্রী ও পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পাশের গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। এদিকে গম্ভীরাতলা সিসরাইল এলাকায় একটি গাছের ডাল কাটতে উঠেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। ওই জায়গায় পথ আটকে পথচলতি গাড়ি বা পথচারীদের কেউ সাবধানও করেনি বলে অভিযোগ। তরুণবাবুরা সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় উপর থেকে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বাইকের উপর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। তার মাও গুরুতর জখম হন। বাবা এবং কাকাও অল্প চোট পেয়েছেন। সবাইকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে নিজের শিশুর মৃত্যুর খবর এখনও দেওয়া হয়নি গুরুতর জখম মাকে। এই ঘটনায় শোকাহত গোটা গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি হরিপুজো উপলক্ষে স্থানীয়রা গাছের শুকনো ডাল কাটতে উঠেছিলেন। সেই সময় দু’জন নীচ থেকে দড়ি ধরেছিলেন। ওই বাইক আরোহী হর্ন দিলেও কেউ শোনেননি বলে অভিযোগ। সেই সময় আচমকা দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত শিশুর বাবা তরুণবাবু বলেন, ওরা এতবড় শুকনো গাছের ডাল কাটছিল। কিন্তু কেউ সেখানে রাস্তা বন্ধ করে রাখেনি। আমরা পড়ে যাওয়ার পরও কেউ উদ্ধার করতে আসেনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের পরিচিত কয়েকজন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। এইভাবে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার জন্যেই আজ আমাদের ছেলে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমার স্ত্রীও গুরুতর আহত। আমরা এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব।
এই ঘটনায় বালুরঘাট ও কুশমণ্ডি রেঞ্জের বনদপ্তরের আধিকারিক আব্দুর রজ্জাক বলেন, গাছটি কাটার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। এখনও পুরো বিষয়টি ঠিকমত জানি না। যদি কেউ অবৈধভাবে গাছ কাটে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফরিদা খাতুন বিবি বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।