বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরাতন মালদহের মুচিয়ায় বাজ পড়ে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মনোজ দাস (২৫)। বাড়ি মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নেমুয়া কামাতে এলাকায়। মৃতের বাবা মানিক দাস বলেন, বৃষ্টিপাতের সময় ছেলে বারান্দায় ছিল। হঠাৎ কান ফাটানো শব্দে বাজ পড়ে। পরে দেখি ছেলে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির শুভলক্ষ্মী গায়েন চৌধুরী বলেন, ওই যুবকের প্রাণ হারানোর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা রাত থেকেই মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।
সেদিন হবিবপুর ব্লকের আইহো বারুইপাড়ায় টাঙন নদীর পাড়ে আচমকা ধস নামে। দুটি বাড়ির সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দারা তাঁদের ভিটেমাটির তলিয়ে যাওয়ার প্রহর গুনছেন। আইহো বারুইপাড়া এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদার বলেন, বৃষ্টির কারণে টাঙন নদীর পাড়ে বড়সড় ধস নামে। ওই দু’টি বাড়ির পরিবার সহ এলাকায় আরও বেশ কিছু পরিবার সঙ্কটে রয়েছেন। বিষয়টি এর আগেও সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সময়ে পাড় মেরামত না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। আগামী দিনের বর্ষায় আরও এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা বিষয়টি ফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।
শুক্রবার রাতের তুমুল বৃষ্টিতে পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহর জল থইথই হয়ে পড়ে। ইংলিশবাজার শহরের আন্ধারু পাড়া, কুট্টি টোলা, রথবাড়ি, সর্বমঙ্গলাপল্লি সহ বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়। পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ি, পালপাড়া, তাঁতিপাড়া, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে জল থইথই করে। যদিও রাতের মধ্যেই বেশ কিছু এলাকার জল নেমে যায়। তবে প্রবল বর্ষণে নিকাশি নালা উপচে আবর্জনা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অনেকে রোগভোগের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, বেহাল নিকাশির কারণে এধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এদিকে দুই পুরসভার তরফেই দাবি করা হয়েছে যে, বৃষ্টি হলেও শহরের কোথাও দীর্ঘক্ষণ জল জমেনি। অল্প সময় পরেই জল নেমে গিয়েছে।