বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ধৃত জয়প্রকাশ সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার বিধানগর পুলিস কমিশনারেটে আরও একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখান থেকে তদন্তকারী দল খুব শীঘ্রই এখানে আসবে। গতকাল ধৃতকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আপাতত সে সুস্থ রয়েছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হয়ে গেলে সব জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বিহারের মদ ব্যবসায়ী সহ ভিনরাজ্যের মোট চার জনকে পতিরামের একটি মন্দিরে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে জয়প্রকাশ সরকার সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ নানারকম অবৈধ কারবার চালাত। সেখানে হানা দিয়ে এক কেজি সোনা, এক লক্ষ টাকা নগদ, ওয়াকিটকি, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাশ বই সহ আরও নানা জিনিস উদ্ধার করেছেপুলিস। জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা এক মহিলা চাকরি দেওয়ার নাম করে জালিয়াতি এবং ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও ভিন রাজ্যের আরও এক বাসিন্দা অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সব মিলিয়ে জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে দু’টি অপহরণ, দু’টি ধর্ষণ সহ জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে জানা গিয়েছে, ধৃত জয়প্রকাশ সুগারের রোগী। থানায় থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সে অসুস্থ বোধ করে। তখন থানা থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ নিজেকে স্বামী শঙ্করানন্দ বলে পরিচয় দিত। তার মন্দিরে সাধারণ মানুষের বেশি আনাগোনা ছিল না। নিজের ব্যক্তিগত নানা অপকর্ম চালাতে ওই মন্দির ব্যবহার করত সে। নিজেদের চক্রের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ওয়াকিটকি দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাও জয়প্রকাশের কার্যকলাপের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তবে এই ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পাশাপাশি জয়প্রকাশের সঙ্গে স্থানীয় চিকিৎসক বিকাশ সরকারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিস।