বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইতিমধ্যেই মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রাক বর্ষায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এবছর। এখনও অবধি এবার প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হয়ছে ৩৮১ মিলিমিটার, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তার উপর আবার এবার জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে জেলায় বর্ষা ঢুকে যাবে। তার প্রভাবে অত্যধিক বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে চাষের পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে বোরো ধান ঘরে তুলে ফেলেছেন কৃষকরা। চাষের মাঠে জল থাকার কারণে আমন ধানের বীজতলা বানিয়ে ফেলেছেন অনেক কৃষক। এই মুহূর্তে আগাম বর্ষার ফলে যদি অধিক বৃষ্টিপাত ঘটে, তাহলে চাষের কাজ করতে বেশি সময় লাগবে কৃষকদের। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনের শেষ ও জুলাইয়ের শুরু থেকে এলাকায় কৃষকেরা আমন ধান রোপণ করেন। গত তিন বছর ধরে এই রুটিন মেনে চাষাবাদ হয়েছে এবারে সময়ের আগে বর্ষা চলে আসায় কৃষকদের বৃষ্টিপাত দেখে চাষের কাজ শুরু করতে হবে।
মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সুমন সূত্রধর বলেন, অতীতে জুন মাসের প্রথম দিকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে যেত। ২০১৫ সালেও জুন মাসের প্রথমেই এখানে বর্ষা হয়েছে। তারপর আবহাওয়া তারতম্যের কারণে বর্ষা ক্রমশ পিছিয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে তা জুলাই মাসের প্রথম দিকে আসছিল উত্তরবঙ্গে। এবার আবার আগের সময় মতো বর্ষা ঢুকে পড়েছে। মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষা আসে কেরল হয়ে। আরব সাগরে এবারে তেমন কোনও নিম্নচাপ না থাকায় মৌসুমী বায়ু গতিপথে কোনও বাধা তৈরি হয়নি। সেজন্যই অন্যান্যবারের তুলনায় এত আগে আগে বর্ষা ঢুকে পড়েছে আমাদের এখানে। এছাড়া এজন্য লকডাউনও একটা কারণ তো অবশ্যই। লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন গাড়ির দাপট ছিল কম। তাই বাতাসে ধূলিকণার মাত্রা ছিল কম। পরিবেশ বর্ষা আসা অনুকূল। আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবার ১২০০ থেকে ১৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। জুন মাস থেকে শুরু হয়ে আগামী চার মাস পর্যন্ত থাকবে বর্ষা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, আমাদের জেলায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়ে থাকে। এবার আগাম বর্ষা ঢুকবে। তাতে যদি জেলাজুড়ে শুরুতেই অধিক বৃষ্টি হয়, তাহলে চাষের কাজ করতে দেরি হবে। আবার যদি কৃষকরা জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষের কাজ করেন, সেক্ষেত্রে ফসল উঠতে কার্তিক মাস হয়ে যাবে। আমরা এবার চাষিদের উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ দিয়ে সাহায্য করছি।