বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংস্থা হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি রাজ বসু বলেন, অন্যান্যবার এ সময় আমাদের পুজোর বুকিং প্রায় ৪০ শতাংশ হয়ে যায়। উৎসব মরশুমে দিনে গড়ে সাতকোটি টাকার ব্যবসা হয়। কিন্তু এবার অবস্থা খুবই খারাপ। লোকজন রাস্তায় বেরলেও বাইরে পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যেতে ভয় পাচ্ছে। তাই পুজোর বুকিং শূন্য। আগে থেকে যাঁরা বুকিং করেছিলেন তাঁদেরও অনেকে ট্যুর বাতিল করতে চাইছেন। ডুয়ার্সের জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, লকডাউনের জন্য কোনও বুকিং নেই। এবার পুজোর বুকিংও মার খাচ্ছে। ব্যবসায় এতটাই মন্দা যে আমাদের কোমর ভেঙে গিয়েছে। এবার পাহড়ে রাজনৈতিক অশান্তি নেই। ভোটের উত্তাপও নেই শৈলশহরে। পর্যটন ব্যবসায়ী রাজা দাশগুপ্ত বলেন, নতুন করে বুকিং পাওয়া তো দূরস্ত উল্টে আগে যাঁরা বুকিং করেছিলেন তাঁরা বুকিং বাতিল করে টাকা ফেরত চাইছেন। আমরা বাধ্য হয়ে বুকিংয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছি। বলেছি, আগামী একবছর পর্যন্ত তাঁদের সমদূরত্বে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেব। এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা এবার সবার রুটিরুজিতে থাবা বসিয়েছে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ডায়মণ্ডহারবার, বিষ্ণুপুর, মাইথন, রাঙাবিতান ও ডুয়ার্সের টিলাবাড়ির পর্যটন কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। আগামী ৮ তারিখ থেকে ওই পাঁচ জায়গার ট্যুরিস্ট লজ অনলাইনে বুকিং শুরু হবে। কোভিড প্রটোকল মেনেই সব করা হবে। আগামী দিনে বাকি লজগুলি ধাপে ধাপে খোলার ছাড়পত্র আমার দেব।
পুজোর এখনও ঢের দেরি আছে। কিন্তু করোনা ওই সময়ে বিদায় নেবে এমন স্বস্তির খবর কেউই শোনাতে পারছে না। তাই এবার পুজোর মরশুমেও পাহাড়ে পর্যটকের দেখা মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলি। অন্যন্য বছর এ সময় থেকেই ডুয়ার্সের বনবাংলো, লজ, রিসর্ট ও হোম স্টে’তে পুজোর বুকিং শুরু হয়ে যায়। ফাইল চিত্র