বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন মালদহ কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ওই সব্জি বিক্রেতা দীর্ঘক্ষণ পড়ে থেকে মারা যান বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি জেলা সদর থেকে সব্জি কিনে নিয়ে এসে স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এদিন ঘুরে ঘুরে সব্জি বিক্রি করার সময়ে হঠাৎই প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই সব্জি বিক্রেতা। স্টেশন লাগোয়া এলাকায় দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে পড়ে থেকে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠিয়েছে। মালদহ থানার পুলিস সান স্ট্রোকের ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
এদিন ওই ঘটনার ফলে অবশ্য পুরাতন মালদহের বাসিন্দাদের অমানবিক দিকটিও সামনে এসেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, এদিন চড়া রোদের মধ্যে অনেকক্ষণ ধরে ওই ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে থাকলেও তাঁকে কেউ তুলে নিয়ে কোনও ছায়ায় সরাননি বা হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এক প্রকার অবহেলায় মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি বলে একাংশের ধারণা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একটা অংশের দাবি, ওই ব্যক্তি মাঝেমধ্যেই নেশা করতেন। এদিন নেশার ঘোরে পড়ে যান হঠাৎ করে। তারপর পড়ে থেকে থেকে সান স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
এবিষয়ে মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাজা বলেন, মালদহে কোর্ট স্টেশন লাগোয়া এলাকায় এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। সম্ভবত সান স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলাকার প্রাক্তণ কাউন্সিলার সিপিএমের সুজন সাহা বলেন, প্রচন্ড গরম এবং প্রখর রৌদ্রের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে্। ঝন্টুবাবু আগে আমার ওয়ার্ডে থাকতেন। যদিও তিনি সম্প্রতি অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু বেদনাদায়ক।
এদিকে হঠাৎ করে জেলার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এদিন জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। প্রখর রোদের সঙ্গে তাপপ্রবাহও চলে। জেলা কৃষি দপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যানাথ বসু বলেন, এদিন হঠাৎ করে তাপমাত্রা একেবারে চার ডিগ্রি লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই আবহাওয়া অনেক গরম হয়ে গিয়েছে। আপাতত এরকম কয়েক দিন চলবে। গরম বাড়তেও পারে।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন জেলার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। হঠাৎ করে গরম অনুভূত হয়। তার সঙ্গে এদিন সকাল থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রখর রোদ ছিল। বিকেলের পর থেকে ভ্যাপসা গরম শুরু হয়।