বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে তিন জেলারই নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৫৬টি, বুধবার ১২৯টি এবং বৃহস্পতিবার ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। গত ২৩ মে ১ হাজার ৫৩৪, ২২ মে ৯৬১টি, ২১ মে ৯২৯টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি। মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, উপসর্গ রয়েছে এমন শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এদিন মালদহ হয়ে ১৯টি ট্রেন শ্রমিক নিয়ে যাতায়াত করেছে। প্রত্যেকটি ট্রেন থেকেই কিছু কিছু শ্রমিক মালদহ টাউন স্টেশনে নেমেছেন। আজ, শুক্রবার দেড় হাজার শ্রমিক নিয়ে একটি ট্রেন মালদহে ঢোকার কথা রয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকেও পরিযায়ী শ্রমিক আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসনের চিন্তা বেড়েছে। প্রসঙ্গত, মালদহের হবিবপুরে নতুন একজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এনিয়ে জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১২৮।
এদিকে বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা এলাকায় নতুন করে ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর সঙ্গেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছুঁতে চলল। জেলায় লালারসের নমুনা সংগ্রহের কাজও অত্যন্ত শ্লথ গতিতে চলছে বলে অভিযোগ।
উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এদিন ইসলামপুর মহকুমায় আরও ১৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। ১০ দিন আগে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিনে তাঁদের রিপোর্ট এসেছে। যাঁদের রিপোর্ট এসেছে, তাঁরা এখন কোথায় আছেন? তাঁদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এসব ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা পরিষ্কার করে কিছুই জানাননি। এদিকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গত ১৮ তারিখ থেকে এলাকায় সোয়ার সংগ্রহ করা হচ্ছে না। কারণ প্রচুর নমুনা ইতিমধ্যেই জমা হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ জন। এদিন নতুন করে ১৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসায় আক্রান্তের সংখ্য দাড়াল ৯৭ জন। স্থানীয়রা বলছেন, জেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণের সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় লালারস সংগ্রহ কিংবা নমুনা পরীক্ষা শ্লথ গতিতে হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। নমুনা দেওয়ার পর অনেকেই অবাধে জেলায় ঘোরাফেরা করছেন। সপ্তাহ খানেক পরে রিপোর্ট আসছে। ততদিনে সেইসব ব্যক্তিদের থেকে যদি এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কি হবে, এই প্রশ্নই উঠছে। ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ থেকে লালারসের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে যায়। সেখানে নমুনা পরীক্ষার প্রচুর চাপের কারণেই রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।