বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শিলিগুড়িতে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে তাঁদেরকে করতালি ও ফুলেরতোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, দেড় মাসে শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ জন। যাঁর মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আছেন। এরবাইরে শিলিগুড়ি শহরের তিনজন এবং গ্রামীণ এলাকার পাঁচজন বাসিন্দা রয়েছেন। এবার তাঁদের অভিজ্ঞতা আমআদমির সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। এ জন্য তারা জয়ীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি লাইভ সম্প্রসার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তা না হলে তাঁদের বক্তব্য ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার অভিযান চালাবে।
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, করোনা মোকাবিলায় নাগরিকদের সচেতন করা জরুরি। তাই করোনা সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষদের অভিজ্ঞতা আমজনতার সামনে তুলে ধরতে চাই। এ জন্যই করোনাযুদ্ধে জয়ীদের অভিজ্ঞতা ভিডিও বার্তায় কিংবা লাভই সম্প্রচার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে সাধারণ মানুষের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি করোনা মোকাবিলাও কিছুটা সহজ হবে বলেই আশা করছি।
এদিকে, করোনাযুদ্ধে জয়ীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলও। সোমবার তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধিত করেছি। এবার করোনামুক্তদের সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ জন্য তাঁদের নামের তালিকা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে চেয়েছি।
অন্যদিকে, কলকাতায় চিকিৎসাধীন ওই করোনা রোগী শিলিগুড়ি শহরের শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা। পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান শক্তিগড়ের ওই বাসিন্দা। সেখানে তাঁর সোয়াব টেস্টে করোনা পজিটিভ হয়। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সোমবার ওই রোগীর বাড়ি এবং আশপাশ এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। ওই রোগীর পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শ মতোই ওই এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জমে থাকা সোয়াবের নমুনার পরীক্ষা আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে চাইছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রশাসন সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোয়াবের প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যারমধ্যে উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএলে ৪৫০০’র বেশি নমুনা জমে রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জমে থাকা সমস্ত নমুনার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এ জন্যই বর্তমানে বিভিন্ন জেলা থেকে জরুরি ৫০টি করে সোয়াবের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএলে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সোয়াব টেস্টে জোর দিতে কোচবিহার ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’টি রিয়াল পিসিআর মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।