বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশবাজার থানার যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায় ত্রাণসামগ্রী না পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক গ্রামবাসী। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুর গ্রামের প্রায় ৩০০ বাসিন্দা এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সনেকা মণ্ডলের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে আসেন যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাজ্জাদ আলি। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকে। ইংরেজবাজার থানা থেকে পুলিস এসে প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করা হয় যে সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
এলাকাবাসী পূর্ণিমা মজুমদার বলেন, লকডাউনের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে পারছি না। এদিকে ঘরে খাবার নেই। ছেলেমেয়েদের অনাহারে রাখতে হচ্ছে। অথচ পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের একবার দেখতে পর্যন্ত আসছেন না। শুনেছি সরকার আমাদের জন্য চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে। কিন্তু আমরা সেসব কিছুই পাচ্ছি না। পঞ্চায়েত সদস্য নিজের পরিচিতদের মধ্যে সেই সমস্ত খাবার বিলি করছে। আমরা না খেয়ে থাকছি। বুধবার সকাল থেকে গোপালপুর গ্রামে প্রচুর মানুষ জমা হয়ে প্রথমে রাস্তার উপরে খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর তাঁরা একত্র হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য সনেকা মণ্ডলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সদস্য সনেকা মণ্ডল এবং প্রধান সাজ্জাদ আলি বলেন, আমরা সরকারের কাছ থেকে যা পেয়েছিলাম, সব বিলি করে দিয়েছি। আবার যদি খাদ্যসামগ্রী আসে তাহলে গোপালপুর গ্রামে দেওয়া হবে।
এদিকে, রেশন নিয়ে বিক্ষোভ পুরাতন মালদহের শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়েছে। একাধিক রেশন ডিলার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রেশন বণ্টন করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক গ্রাহকের রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে পুরাতন মালদহ ব্লকের পুরাতন টোলা গ্রামে একসঙ্গে প্রচুর গ্রাহক চলে আসায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একাংশ গ্রাহক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। প্রশাসনের কর্তারা গ্রাহকদের সমস্যা মিটিয়ে পুরাতন টোলা রেশন দোকানে পরিষেবা স্বাভাবিক করেন। এদিকে শহরের তুতবাড়ি রেশন দোকানে রেশন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে স্থানীয় এক মহিলাকে রেশন না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও রেশন ডিলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার বশিষ্ট ত্রিবেদী বলেন, এদিন কোনও অশান্তি হয়নি। কোনও গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হলে বিষয়টি আমরা দেখব। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, পুরাতন টোলায় কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। একসঙ্গে প্রচুর গ্রাহক চলে আসায় আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। পরে রেশন পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে।