বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দিল্লির ধর্মীয় সভায় যোগদান করে আসা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির লস্করপুরের এক বাসিন্দা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যান। তাঁকে খুঁজতে দিনভর হইচই চলে জেলায়। বৃহস্পতিবার সেই বাসিন্দাকে খুঁজে বের করে তাঁকে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হিলি কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সভায় এই জেলার চার বাসিন্দা যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কুমারগঞ্জের বাসিন্দা, একজন গঙ্গারামপুর ও হিলি ব্লকের দু’জন বাসিন্দা। বাকি তিন জনের খোঁজ পাওয়া গেলেও হিলির লস্করপুরের সেই বাসিন্দা পলাতক ছিলেন। বুধবার রাত থেকে হিলি থানার পুলিস ও স্বাস্থ্য কর্মীরা পুরো এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। জানা যায়, তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিসের তরফে সেই ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যে আতঙ্কের কিছু নেই। যদিও সেই ব্যক্তির শরীরে এখনও পর্যন্ত করোনার লক্ষ্মণ দেখা যায়নি বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে। হিলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্রাংশু মজুমদার বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার লস্করপুরের ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি।
দিল্লির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা শহরে আশ্রয় নিয়েছিল ১৩ জন। পুলিস খবর পেয়ে বুধবার রাতে তাঁদের উদ্ধার করে কলকাতার একটি আইসোলেশন সেন্টারে পাঠায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই চন্দননগর এলাকার বাসিন্দা। বিহার হয়ে তাঁরা ডালখোলায় ঢুকেছিলেন। এই ঘটনাটি চাউর হতেই বৃহস্পতিবার ডালখোলার বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, নিজামুদ্দিনের সভা থেকে একটি ট্রাকে করে বিহার হয়ে ডালখোলায় এসেছিলেন ১৩ জন। তাঁদের উদ্ধার করে বাসে করে কলকাতার সল্টলেকে একটি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ডালখোলা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, কয়েকজন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ও কয়েকজন সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই রাতেই ওই ধর্মীয় স্থান ও সংলগ্ন বাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। সেই বাড়ির সকলকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাকুলিয়ার বিধায়ক আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, ডালখোলার ক্ষেত্রে প্রশাসন সঠিক পদক্ষপ করেছে।
এদিকে মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের প্রায় ১০ জন ওই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সম্ভবত মালদহে ফিরেছিলেন। তবে দেশজুড়ে শোরগোল হওয়ার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান ইংলিশবাজার শহরের ওই বাসিন্দা। বাকি নয়জনের মোবাইল ট্র্যাক করে জানা গিয়েছে যে তাঁরা বর্তমানে মালদহে নেই। তাঁদের খোঁজ চলছে।