বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বামনপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করোনা হয়েছে বলে নাম ব্যবহারের পাশাপাশি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯ মার্চ তাঁর বাড়িতে বেশকয়েকজন এসে এ সর্ম্পকে খোঁজ নেয়। তারাই পরে প্রচার করে ওই যুবক করোনা সন্দেহে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর নাম ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করা হয়। এমনকী তাঁর নাম উল্লেখ করে ভয়েস মেসেজও ভাইরাল হয়। এতেই তিনি ভয় পেয়ে যান।
ওই যুবক বলেন, আমাদের পাড়ার এক যুবক করোনার উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আমি সেটা জানতাম না। তাঁকে যে পুলিস ও প্রশাসন খুঁজেছে সেটাও আমার জানা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই আমার বাড়িতে লোকজন আসতে শুরু করে। অনেকেই আমার খোঁজ করে। তখন আমি জানতে পারি আমার নাম ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অথচ আমার কিছুই হয়নি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা এতে বিপাকে পড়ে যাই। সামাজিক বয়কটের আশঙ্কায় আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিবার আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
জেলার পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, এ ধরনের প্রচার করা কখনই উচিত নয়। কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির বামনপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ফুলের ব্যবসা করেন। ওই পাড়ারই এক বাসিন্দা চ্যাংরাবান্ধায় কাজ করতেন। তিনি অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি। এটা প্রকাশ্যে আসতেই জলপাইগুড়িতে হইচই পড়ে গিয়েছিল। পরে পুলিস গিয়ে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে যেদিন ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই রাতেই ওই ব্যক্তিও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
এমনিতেই করোনা নিয়ে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। রাস্তায় লোকজন কম বেরচ্ছেন। তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজনের ছবি ও নাম ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত বলে প্রচার হওয়ায় পুলিস বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছে।