বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্প্রতি পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য রাজ্য পুরদপ্তরের পক্ষ থেকে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই বরাদ্দ টাকায় ১০টি রাস্তা এবং ১১টি হাইড্রেন তৈরি করবে পুরসভা। তার মধ্যে পেভার্স ব্লক দিয়ে কয়েকটি গলি রাস্তার কাজও করা হবে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা সচল করতে হাইড্রেন তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সামনের বর্ষার আগেই এই সমস্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
যদিও এনিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা সারা বছর কোনও কাজ করেনি। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টায় কয়েকটি রাস্তা ও ড্রেন তৈরির কাজ করছে। তবুও মানুষ তৃণমূলকে আর ভোট দেবে না। পুরসভার অবশ্য দাবি, সারা বছর নিয়ম মাফিক শহরের উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ভোটের আগে রাস্তা ও ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে এরকম ধারণা ঠিক নয়। ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবেই এই ড্রেন ও রাস্তা তৈরি করছি।
এব্যাপারে মাথাভাঙা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন দাস বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে শহরের উন্নয়নমূলক কাজ করছি। উন্নয়নমূলক ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবেই এই ড্রেন ও রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। বিরোধীদের হাতে পুরসভার বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু না থাকায় তারা এধরনের মন্তব্য করছে। মানুষ আমাদের উন্নয়ন দেখেছে, আগামী পুরসভা নির্বাচনেও মানুষ আমাদের সঙ্গেই থাকবে। এব্যাপারে বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, শহরের উন্নয়ন নিয়ে এতদিন তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের কোনও মাথা ব্যথাই ছিল না। সামনে পুরসভা নির্বাচন আসায় এখন কয়েকটি রাস্তা আর ড্রেন তৈরি করে মানুষের মন জয় করতে চাইছে। মানুষ এসবে আর ভুলবে না। সামনের নির্বাচনে সেটা বুঝতে পারবে তৃণমূল। এব্যাপারে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মকসেদুল হক বলেন, তৃণমূল শহরের উন্নয়ন করার চেয়ে নিজেদের উন্নয়ন করার কাজেই ব্যস্ত বেশি। এনিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। সামনেই পুরসভা নির্বাচন, মানুষ নির্বাচনেই তৃণমূলকে জবাব দেবে।