বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক দীনবন্ধু সাহা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে জলপাইগুড়িতে প্রায় ১১ হাজার উপভোক্তাকে বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা নতুন করে দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা এই ভাতাপ্রাপকের সংখ্যা বৃদ্ধি করছি। যাতে প্রকৃত উপভোক্তা বঞ্চিত না হন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬০ বছর পেরলেই বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করা যায়। সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা না পেলে এই ভাতা উপভোক্তা পাওয়ার যোগ্য হন। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারীর পারিবারিক মাসিক আয় হাজার টাকার কম হতে হবে। রাজ্যে ন্যূনতম ১০ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেই ভাতা মঞ্জুর হয়। পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটায় এই ভাতা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে অথবা পুরসভায় গিয়ে এই ভাতার জন্য আবেদন করতে হয়। ভাতা মঞ্জুর হলে উপভোক্তা আমৃত্যু এই ভাতা পেয়ে থাকেন। শহরে কাউন্সিলার অথবা গ্রামীণ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র, আয়ের শংসাপত্র ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার হাতে থাকা কোটা পূরণ হয়ে গেলে নতুন করে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করা হয় না। দীর্ঘদিন ধরে নতুন উপভোক্তার নাম সংযুক্ত হচ্ছিল না। তবে ব্লক অফিস বা পুরসভাগুলি থেকে প্রতিদিনই বিধবা ভাতা বা বার্ধক্য ভাতার জন্য ফর্ম নিয়ে যান উপভোক্তারা। স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে শংসাপত্র নিয়ে আবেদন জমা করার পর প্রায় প্রতিদিনই উপভোক্তারা এসে জেনে যান তাঁদের নাম ভাতার তালিকায় যুক্ত হয়েছে কি না। কারণ কোনও উপভোক্তা মারা গেলে সেক্ষেত্রে ওই শূন্যস্থানে একজনকে যুক্ত করা হতো। আবেদনের পাহাড় জমা হলেও নতুন করে কোটা বৃদ্ধি করে নাম দীর্ঘদিন ধরেই উঠছিল না।
আবেদন করেও ভাতাপ্রাপকের তালিকায় নাম না আসায় অনেকেই ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। নেতা-মন্ত্রীরা পড়ায় এলে এনিয়ে তাঁদেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল। অবশেষে কোটা বৃদ্ধি হওয়ায় আবেদনকারীরা খুশি। তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। জানুয়ারি মাসে থেকেই জলপাইগুড়ি জেলার বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা পাওয়ার সংখ্যা রাজ্য সরকার ১১ হাজার বাড়িয়ে দেয়।
ব্লক অফিস ও পুরসভা অফিসে পড়ে থাকা বিপুল সংখ্যক আবেদনকে ভাতা পাওয়ার জন্য খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বহুদিন পর বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার কোটা বৃদ্ধি হওয়ায় আবেদনকারীরা সুযোগ পাচ্ছেন।