বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোমবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়কের কাজে ব্যবহৃত কাঠের সামগ্রী রাস্তার মাঝে নিয়ে এসে আগুন জ্বালিয়ে দেন। দমকল আগুন নেভাতে এলে, বাধা দেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকলে বাদামাইলের জোড়কুড়িতে অবস্থিত জাতীয় সড়কের কাজের জন্য যে ক্যাম্প বানানো হয়েছিল সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। তিনটি বড় গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গভীর রাতে প্রচুর পুলিস ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর দমকল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, খবর পেয়ে পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠায়। কিছু সামগ্রী ও গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। পুলিস দমকলকে নিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জগন্নাথ সামন্ত বলেন, দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বেদনাদায়ক ঘটনা। আন্ডারপাস তৈরীর জায়গা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা ছিল।
জানা গিয়েছে, মলয় দাসের শ্বশুর বাড়ি মালঞ্চার চেঁচরাতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে পরিবারের সকলের উপস্থিত ছিল। শালা পাপ্পু সরকার ও দুই ভায়রা ভাই অলীপ শিকদার ও মলয় দাস তিন জনে মোটর বাইক নিয়ে তিওরে গিয়েছিলেন। মলয় দাস নিজে বাইক চালাচ্ছিলেন। তবে বাদামাইল লক্ষ্মীপ্রতাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যে আন্ডারপাসের কাজ চলছিল, তা কারও জানা ছিল না। দ্রুত গতিতে তাঁরা বালুরঘাটের দিকে যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় বালুরঘাট থেকে একটি বাস হিলির দিকে আসছিল। দ্রুত গতি থাকার কারণে আন্ডারপাসের পাশে রাস্তায় উঠতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গর্তে পড়ে যায় বাইকটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মলয় দাসের। বাকি দুইজনকে উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও পুলিস ঘটনাস্থলে না এলে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমে। উত্তেজিত হয়ে জাতীয় সড়কের ক্যাম্পে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ভাঙচুর করে তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুন বাড়তে থাকলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরী হয়। অল্পের জন্য ক্যাম্পের পাশে থাকা বাড়িগুলি অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পায়। পরিস্থিত আরও অশান্ত হয়ে উঠলে ডিএসপির নেতৃত্বে প্রচুর পুলিস ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরে এদিন আন্ডারপাসের চারদিক ঘিরে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কের কাজ এদিন বন্ধ ছিল। আতঙ্কে অনেক শ্রমিক পালিয়ে গিয়েছে।