বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মাল জিআরপি’র ওসি সুধীর রায় বলেন, খুবই দঃখজনক ঘটনা। সেলফি তুলতে গিয়ে একজন মারা গিয়েছেন, আরেকজন জখম হয়েছেন। যে ট্রেনটি ধাক্কা মেরেছে সেটি ডাউন গুয়াহাটি-ইন্দোর এক্সপ্রেস ছিল। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
রুমকি রায়ের এই আকস্মিক মৃত্যুতে ময়নাগুড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার ময়নাগুড়ির এক কোচিং সেন্টার থেকে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা পিকনিকে গিয়েছিলেন। কোচিং সেন্টারের শিক্ষক চন্দন সরকারও গিয়েছিলেন। ময়নাগুড়ি কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক চন্দনবাবু বলেন, রবিবার আমরা মালবাজারের ঘিস নদীর চরে পিকনিক করতে গিয়েছিলাম। সেসময় সকলের হাতে টিফিন দেওয়া হয়েছিল। টিফিন নেওয়ার পরে সকলকে না বলেই রুমকি ও তার বান্ধবী জয়শ্রী রেল সেতুতে উঠে গিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি ট্রেন চলে আসে। সেই রেলে ধাক্কা লাগে রুমকির। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জয়শ্রী সেতু থেকে নীচে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি রুমকির কানে হেডফোন ছিল। তাই সে রেলের আওয়াজ শুনতে পায়নি। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে জয়শ্রীর চিকিৎসা চলছে।
মৃত রুমকির দাদা অমিয় রায় বলেন, ও আমাদের পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছিল। আমার আরেক বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রুমকি পড়াশোনায় ভালো ছিল। কিন্তু সেলফি তোলার নেশায় যে তার এই পরিণতি হবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না। বোনের এই ঘটনা জানার পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বাবা অশ্বিনী রায় ও মা রঞ্জাবতী রায়। তাঁদের বক্তব্য, আমি শুধু এটুকুই বলবো আর কেউ যেন বিপজ্জনকভাবে সেলফি না তোলে।
ময়নাগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষা সুস্মিতা পণ্ডিত বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সেলফি তোলার নেশায় যে এভাবে একজন ছাত্রীর প্রাণ চলে যাবে তা আমরা এখনও কল্পনা করতে পারছি না। আমরা বিপজ্জনকভাবে সেলফি তোলার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার করব। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্য আমরা পদক্ষেপ করব। সামান্য এক সেলফির জন্য বাবা-মায়ের কোল খালি করে মৃত্যুর মুখে চলে যাওয়া কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, মোবাইলে সেলফি তোলার নেশায় মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে, পাহাড় থেকে পড়ে, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। রেলের তরফে এনিয়ে সচেতনতার প্রচারও হয়েছে। কিন্তু সেলফির নেশায় মৃত্যু মিছিল থামেনি।