বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তিনি বলেন,বিধানসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশ করালেও উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ এবার বিধানসভা থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হবে উত্তরবঙ্গেও। দু’একটি আসন ছাড়া সব আসনেই জিতবে বিজেপি। এমনকি আসন্ন পুরসভা নির্বাচনেও ভালো ফল করবে দল। সোমবার মালদহে এসে বুক বাজিয়ে এমনই দাবি করলেন দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি হয়ে আসা দিলীপ ঘোষ। এদিন মালদহে অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন মালদহে এসে সাতসকালে দিলীপবাবু চলে যান পুরাতন মালদহের বুলবুলচণ্ডী মোড়ে। সেখানে রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতাদের নিয়ে চায়ের আসরে বসে পড়েন দিলীপবাবু। রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ভিড় জমান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এগিয়ে আসেন বেশ কিছু স্থানীয় মানুষও। তাঁদের চা খাওয়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক আলোচনাও জুড়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা।
তবে এক সময় যে সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই রাজ্যে দল নির্বাচনী সাফল্য পায়নি তাও এদিন স্বীকার করে নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকা তাঁর পূর্বসূরিদেরই বর্তমান বিজেপি সভাপতি খোঁচা দিলেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা এরাজ্যে এখন সংগঠন শক্তিশালী করে তুলেছি। প্রতিটি বুথে এখন বিজেপি কর্মীরা জান লড়িয়ে কাজ করছেন। তৃণমূলের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টেক্কা দিচ্ছেন। বিজেপির এই উত্থান দেখে পুলিস, গুণ্ডা লাগিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আইন ভেঙেই আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে শত অত্যাচার আর আক্রমণের মুখেও মানুষ যেখানে পেরেছে আমাদের ভোট দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হওয়ায় সারা রাজ্যে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে আমরা ঐতিহাসিক সাফল্য লাভ করেছি। পুরসভা নির্বাচনে আমরা স্বচ্ছ প্রশাসন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্লোগান নিয়ে পুরবাসীর দুয়ারে দুয়ারে যাব।
এদিন দুপুরে পুরাতন মালদহের সেতুমোড় থেকে অভিনন্দন যাত্রা শুরু করে বিজেপি। এই মিছিলে যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, শুধু আমাদের দলের কর্মী সমর্থকরাই নন, অগণিত সাধারণ মানুষও এদিনের অভিনন্দন যাত্রায় পা মিলিয়েছেন। এদিন মালদহের নেতাজি মোড়, ফোয়ারা মোড়, রাজ হোটেল মোড় হয়ে পদযাত্রা শেষ হয় সুকান্ত মোড়ে। পদযাত্রার শেষে পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যা সুমিতা মুর্মু ফের বিজেপিতে যোগ দান করেন। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি।
এদিকে বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, মালদহ জেলার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র রয়েছে। এখানকার মানুষ বিজেপি’কে প্রত্যাখ্যান করবেন।