বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এনআরসি ও সিএএ’র আতঙ্কে রেসিডেন্সিয়াল ও জন্মের সার্টিফিকেট সংগ্রহের হিড়িক অনেকদিন ধরেই চলছে। এজন্য শিলিগুড়ি পুরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধিকরণ বিভাগে এবং কাউন্সিলারদের কাছে ভিড় করছেন বাসিন্দারা। যাঁদের অনেকের জন্ম ১০, ১৫, ২০ এমনকী ৩০ বছর আগে হয়েছে। সচিত্র ভোটার তালিকায় নাম তুলতেও বাসিন্দাদের আগ্রহ বেশি। এবার এসসি ও এসটি সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র সংগ্রহ করতে আদিবাসী, রাজবংশী সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে হিড়িক পড়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২২ জানুয়ারি মহকুমার নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া ও খড়িবাড়ি ব্লকে শুরু হয় আদিবাসী মেলা। শুক্রবার রাতে মেলা শেষ হয়। প্রতিটি মেলাতেই এসসি ও এসটি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণের একটি করে কাউন্টার করা হয়েছিল। তিনদিন মেলাগুলির সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে আবেদনকারীদের ভিড় ছিল। যারমধ্যে যুবক-যুবতী থেকে মাঝ বয়সি বাসিন্দাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। এই ক’দিনে চারটি মেলায় এসসি ও এসটি সার্টিফিকেট সংগ্রহের আবেদন জমা পড়েছে ৮০০০’র আশপাশে। যারমধ্যে নকশালবাড়ি ব্লকে আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩০০০। এছাড়া ফাঁসিদেওয়ায় প্রায় ২৫০০টি, খড়িবাড়িতে ১৫০০টি এবং মাটিগাড়ায় ১০০০টি আবেদন জমা পড়েছে।
মেলাগুলিতে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য বিপুল পরিমাণ আবেদন পড়ায় বিভিন্ন মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে। প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতারাও এনিয়ে বিস্মিত। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে আতঙ্কের জেরেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক। এই আতঙ্ক কাটানোর জন্য আমরা প্রচারে নামব। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্যই কালা কানুন সিএএ তৈরি করেছে। এতেই মানুষ ভীত হয়ে পড়েছেন। তাই জন্ম ও বাসস্থানের সার্টিফিকেটের মতো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে হিড়িক পড়েছে। তবে এই রাজ্যে এনআরসি ও সিএএ লাগু হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। তাই মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা গ্রামবাসীদের বোঝাব।
অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কাস্ট সার্টিফিকেটের আবেদনপত্রের সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র, পরিবারের কারও সার্টিফিকেট থাকলে সেটির ফটোকপি সহ কিছু নথি দাখিল করতে হয়। তাই ওই আবেদনপত্রগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। যোগ্য আবেদনকারীদের শীঘ্রই কাস্ট সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
কাস্ট সার্টিফিকেটের আবেদন গ্রহণ করার পাশাপাশি ব্লক ভিত্তিক ওই মেলায় সরকারি বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প, সরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে প্রচার চালানো হয়। এজন্য প্রতিটি মেলায় কৃষি, উদ্যানপালন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ সহ বিভিন্ন দপ্তরের স্টল করা হয়েছিল।