বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুরের বক্তব্য, নির্বাচনে লড়াই করাটাই মুখ্য বিষয় নয়, তা দলের নেতৃত্ব একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ভোটে না লড়ে বা না জিতেও বিভিন্নভাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে মানুষের সেবা করার সুযোগ থাকে। আমাদের দলের হয়ে পুর নির্বাচনে কারা লড়াই করবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বই। এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর সময় আসেনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে ১০০ শতাংশ সাফল্য এনে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের কৌশল। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে ১৮টি আসন জিতে তৃণমূলকে খানিকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশল ফের তৃণমূলকে রাজনৈতিক জমি প্রায় পুরোটাই ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোর প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে এই রাজ্যে।
টিম পিকে যে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সেই বার্তা কার্যত স্পষ্ট জেলা তৃণমূলের অনেক নেতানেত্রীর কাছেই। এক সময় জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক নেতা বলেন, সংরক্ষণ তালিকা কিছুই নয়। এই তালিকা দেখে নিজেদের আসন বেঁচে গেল ভেবে উল্লসিত হওয়ারও কিছু নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রশান্ত কিশোর পরামর্শ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ফলে সংরক্ষণ তালিকায় উৎরে যাওয়া ব্যক্তিও বাদ পড়তে পারেন। আবার বাদ পড়েছেন এমন কেউ দলের ফর্মুলায় প্রার্থীও হতে পারেন।
প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন ইংলিশবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার শুভময় বসুও। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়নি। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও পিকে’র দপ্তর থেকে চূড়ান্ত করা হবে বলে কানে এসেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যক্তি কখনও দলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, পাঁচ বছর ধরে যেভাবে আমার ওয়ার্ডের নাগরিকদের পাশে থেকেছি, তাতে দল এই ওয়ার্ড নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবে।
ইংলিশবাজার পুরসভার দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলার তথা যুব তৃণমূল নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞই পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সংরক্ষণ তালিকা একটি সরকারি নিয়মের বিষয়। কিন্তু প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা বা না করা একান্ত ভাবেই দলের সিদ্ধান্ত।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক কাউন্সিলারই নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে কলকাতার রাজ্য নেতৃত্ব ও প্রশান্ত কিশোর টিমের সূত্র থেকে জানার মরিয়া চেষ্টা করছেন যে তাঁদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী পদের শিকে ছিঁড়বে কি না। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই হবে। ধার, ভার ও অভিজ্ঞতার থেকেও প্রার্থী পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি বিবেচ্য হবে দলের প্রতি আস্থা এবং দলের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার রেকর্ড।