বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংবাদদাতা, মালবাজার: মঙ্গলবার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডুয়ার্সের বিভিন্ন স্কোয়াডকে মোটর বাইক দিলেন। এদিন মেটেলি ব্লকের মূর্তিতে একটি অনুষ্ঠনের মধ্যে দিয়ে মোটর বাইকগুলি রেঞ্জারদের হাতে মন্ত্রী তুলে দেন। এদিন মাল, খুনিয়া, বিন্নাগুড়ি স্কোয়াড এবং রামসাই মোবাইল রেঞ্জকে দু’টি করে মোট ১০টি মোটর বাইক দেওয়া হয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত উত্তরবঙ্গে ১০টি মোটর বাইক দেওয়া হল। গোটা রাজ্যে ৮৫টি এমন মোটর বাইক দেওয়া হচ্ছে। সব রেঞ্জই যাতে একটি করে মোটর বাইক পায় তার জন্য দপ্তর চেষ্টা চালাচ্ছে। মন্ত্রীর দাবি, এই বাইক দেওয়ার ফলে বনকর্মীরা বন্যপ্রাণীর হানাদারি বা আক্রমণ হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন। এতে বিষয়-সম্পত্তি রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি মানুষের প্রাণিহানির সম্ভাবনাও কমবে। অন্য দিকে বন্যপ্রাণীরাও মানুষের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচবে। একই সঙ্গে এতে বনে নজরদারির কাজও সহজ হবে।
উল্লেখ্য, শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, গোট পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের মানুষের সঙ্গে বন্যজন্তুর সংঘাত লেগেই আছে। এনিয়ে ওসব এলাকার বসিন্দাদের সচেতন করতে বনদপ্তর বিভিন্ন সময়ে বনবস্তিবাসী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা করে। কিন্তু তারপরেও ওই সংঘাত কিছুতেই থামার নয়। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী চলে এলে যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছে সংঘাত রোখা যায় সেজন্য বনদপ্তর এবার একধাপ এগিয়ে মোটরবাইক দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
বনমন্ত্রী বলেন, আমরা কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অ্যানিম্যাল স্কোয়াড করেছি। ওসব স্কোয়াডকে গাড়ি দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে বন্যজন্তু হানা দিলে কর্মীরা খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান। এরপরেও বাসিন্দাদের অভিযোগ থাকে বনকর্মীরা সঠিক সময়ে পৌঁছননি। মানুষ-বন্যপ্রাণীর এতে সংঘাত বাড়ে। আশা করি, এতে কর্মীরা আগের থেকে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পাববেন। এতে জঙ্গলের ভেতরে যেমন পাহারা জোরদার করা যাবে, তেমনি বন্যজন্তুর সঙ্গে মানুষের সংঘাত রোখা যাবে। পরবর্তীতে আমরা আরও এমন মোটর বাইক বিভিন্ন স্কোয়াডে দেব।
এমনিতেই বনদপ্তরের অধিকাংশ গাড়িই লজ্ঝড়ে। রাতের অন্ধকারে এবড়োখেবড়ো গ্রামের রাস্তায় চলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অকুস্থলে পৌঁছাতে বনকর্মীদের অনেকটাই দেরি হয়। পরে তাঁরা পৌঁছালে স্বাভাবিকভাবেই বনকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়তে হয়। মূলত ফসল পাকার সময়ে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় প্রায় রাতেই হাতির পাল চলে আসে। তাছাড়া চা বলয়ে চিতাবাঘের উপদ্রব আছে। ওসব বন্যজন্তু প্রায়ই মানুষের হিংসার শিকার হয়। মঙ্গলবারও ডুয়ার্সে একটি চিতাবাঘের শাবকের মৃতদেহ বনকর্মীরা উদ্ধার করেন। বনকর্মীদের অনুমান, সেটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এমন ঘটনার আকছাড় হচ্ছে। এসব রুখতে এবং দ্রুত বনকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে এদিন মোটরবাইক দেওয়া হয়। বনদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে আরও এমন মোটর বাইক রেঞ্জ ও স্কোয়াডগুলিকে দেওয়া হবে। এদিন রেঞ্জগুলিকে মোটর বাইক দেওয়ার আগে মন্ত্রী নিজে বাইক চালান।
মন্ত্রী এদিন অনুষ্ঠানস্থলে দাঁড়িয়ে একাংশ চা বাগানে ব্লেড তার দিয়ে ফেন্সিং দেওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি ওসব বাগান কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ব্লেড তার খুলে ফেলতে হবে। নইলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডুয়ার্সের জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাওয়া একাধিক নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি, পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও এদিন মন্ত্রী সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য, শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, গোট পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের মানুষের সঙ্গে বন্যজন্তুর সংঘাত লেগেই আছে। এনিয়ে ওসব এলাকার বসিন্দাদের সচেতন করতে বনদপ্তর বিভিন্ন সময়ে বনবস্তিবাসী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা করে। কিন্তু তারপরেও ওই সংঘাত কিছুতেই থামার নয়। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী চলে এলে যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছে সংঘাত রোখা যায় সেজন্য বনদপ্তর এবার একধাপ এগিয়ে মোটরবাইক দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
বনমন্ত্রী বলেন, আমরা কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অ্যানিম্যাল স্কোয়াড করেছি। ওসব স্কোয়াডকে গাড়ি দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে বন্যজন্তু হানা দিলে কর্মীরা খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান। এরপরেও বাসিন্দাদের অভিযোগ থাকে বনকর্মীরা সঠিক সময়ে পৌঁছননি। মানুষ-বন্যপ্রাণীর এতে সংঘাত বাড়ে। আশা করি, এতে কর্মীরা আগের থেকে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পাববেন। এতে জঙ্গলের ভেতরে যেমন পাহারা জোরদার করা যাবে, তেমনি বন্যজন্তুর সঙ্গে মানুষের সংঘাত রোখা যাবে। পরবর্তীতে আমরা আরও এমন মোটর বাইক বিভিন্ন স্কোয়াডে দেব।
এমনিতেই বনদপ্তরের অধিকাংশ গাড়িই লজ্ঝড়ে। রাতের অন্ধকারে এবড়োখেবড়ো গ্রামের রাস্তায় চলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অকুস্থলে পৌঁছাতে বনকর্মীদের অনেকটাই দেরি হয়। পরে তাঁরা পৌঁছালে স্বাভাবিকভাবেই বনকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়তে হয়। মূলত ফসল পাকার সময়ে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় প্রায় রাতেই হাতির পাল চলে আসে। তাছাড়া চা বলয়ে চিতাবাঘের উপদ্রব আছে। ওসব বন্যজন্তু প্রায়ই মানুষের হিংসার শিকার হয়। মঙ্গলবারও ডুয়ার্সে একটি চিতাবাঘের শাবকের মৃতদেহ বনকর্মীরা উদ্ধার করেন। বনকর্মীদের অনুমান, সেটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এমন ঘটনার আকছাড় হচ্ছে। এসব রুখতে এবং দ্রুত বনকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে এদিন মোটরবাইক দেওয়া হয়। বনদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে আরও এমন মোটর বাইক রেঞ্জ ও স্কোয়াডগুলিকে দেওয়া হবে। এদিন রেঞ্জগুলিকে মোটর বাইক দেওয়ার আগে মন্ত্রী নিজে বাইক চালান।
মন্ত্রী এদিন অনুষ্ঠানস্থলে দাঁড়িয়ে একাংশ চা বাগানে ব্লেড তার দিয়ে ফেন্সিং দেওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি ওসব বাগান কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ব্লেড তার খুলে ফেলতে হবে। নইলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডুয়ার্সের জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাওয়া একাধিক নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি, পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও এদিন মন্ত্রী সতর্ক করেন।
