সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহের চাঁচলের মালতীপুরে যুবতীর দেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিস এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই ঘটনা নিয়ে পুলিসের হাতে তেমন কোনও তথ্যও উঠে আসেনি। যে কারণে ওই ঘটনার কিনারা করতে পুলিস সমস্যায় পড়েছে। এদিন দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস তার ভিত্তিতে তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। এদিকে ওই যুবতীর পরিবারের দাবি, তাঁর বিয়ে নিয়ে সম্প্রতি কথাবার্তা চলছিল। বিয়ে আর সম্পর্কের জটিলতার ফলে এঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন মৃতার প্রতিবেশীরা। এদিকে ওই যুবতীর সঙ্গে যে ছেলেটির সম্পর্ক ছিল, তারও খোঁজ মিলছে না বলে জানা গিয়েছে। ফলে ধোঁয়াশা আরও বাড়ছে। এবিষয়ে চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, যুবতী খুনের কিনারা এখনও করা যায়নি। আমরা মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় কারা যুক্ত তা নিয়ে সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি ।
মৃতার বাবা বলেন, মেয়ে খুনের ঘটনার পেছনে কি রহস্য রয়েছে তা বলতে পারছি না। আমরা পুলিসকে সব কিছু জানিয়েছি ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে চাঁচল-২ ব্লকের মালতীপুরে ইটভাটার কাছে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীরা অনুমান করেন, ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিস প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করলেও খুনের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। মৃতের পরিবার জানিয়েছে,ওই যুবতীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার আগের দিন ওই যুবতী ডাক্তার দেখাবার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তারপরে আর তিনি ফেরেননি। পরদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হলে মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, যার সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক ছিল, তারও হদিস মিলছে না। ফলে ঘটনায় ওই যুবক জড়িত বলে তারা মনে করছেন।
এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পর মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরকে ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছে।