বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই দেশের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। পড়শি জেলাগুলির ক্ষেত্রে সীমান্তপারের দূষণ একটা সমস্যা। তবে মালদহের ক্ষেত্রে বিষয়টি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, চিনিকল সংলগ্ন নদী নালার জল দূষিত হয়ে পড়ে। ওই জল সীমানা পার হয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যায়। কৃষিক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলেও জল দূষণ হয়। দূষিত জল ভিন দেশে গিয়ে জলজ জীব বৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে। দূষণের ফলে নদীর মাছ মরে যায়। রোগাক্রান্ত মাছ খেয়ে দেশবাসীর অসুখ-বিসুখ হয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন কলকারাখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে অন্যদেশে চলে যায়। তা কেউ আটকাতে পারে না। এদিকে, কোনও দেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা প্রশাসন অন্য দেশের কলকারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব হয় না। ফলে দূষণ সন্ত্রাস নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানো বর্তমানে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। মালদহ আঞ্চলিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (এনভায়ারমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার) সুদীপ বড়ুয়া বলেন, গ্যাসীয় কণা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় তাপ ধরে রাখে। ফলে পৃথিবী উষ্ণ হয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহ ও মেরু প্রদেশের বরফ গলছে। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। মানুষ বিভিন্ন মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দূষণ কাঁটাতার মানে না। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব দেশকে একযোগে পদক্ষেপ করতে হবে। দূষণ রোধের নিয়ম অনুসরণ করলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।