বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরণ কর্মসূচি-২ (আইএসজিপি) এর জলপাইগুড়ি আহ্বায়ক সুদীপ্তকুমার মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাজকর্মে স্বচ্ছতা বাড়াতে এই প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়। উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ বরাদ্দেরে ক্ষেত্রে বিতর্ক এড়াতে তাদেরকে অর্থ দপ্তরের রুলস অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এতে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
শিলিগুড়ি মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারিক ও সচিবদের নিয়ে বুধবার প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা হয়। এদিন ওই শিবির শেষ হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা পরিষদের হলঘরে আয়োজিত শিবিরে নির্বাহী আধিকারিক ও সচিব মিলিয়ে ৩৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরকে কোটোশন, টেন্ডার, ই-টেন্ডার আহ্বান ও জিএসটি প্রদানের নিয়ম সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে।
প্রশিক্ষণ শিবিরের পর প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ২০০৭ সালের পঞ্চায়েত দপ্তরের অডিট, অ্যাকাউন্ট ও বাজেট রুল অনুসারে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা নিজেদের ক্ষমতা বলে ১০৯৯ টাকার জিনিস কেনাকাটা করতে পারেন। ২০০০ থেকে ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকার জিনিস ক্রয় করতে হলেই তাঁদেরকে কোটেশন করতে হবে। কোনও জিনিস ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকার অধিক খরচ করতে হলেই টেন্ডার করতে হবে। কিন্তু অর্থ দপ্তরের নিয়মে উল্লেখ আছে, প্রধানরা প্রায় ১০ হাজার টাকার জিনিস নিজেদের ক্ষমতা বলে ক্রয় করতে পারবেন। আর কোটেশনের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকার জিনিস, কোনও জিনিসের মূল্য বা কোনও নির্মাণ কাজের বাজেট এক লক্ষ টাকার অধিক হলেও দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কোনও জিনিসের মূল্য বা উন্নয়নমূলক কাজের বাজেট পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি হলেও করতে হবে ই-টেন্ডার। তাই উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে অর্থ দপ্তরের আইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে জিএসটি প্রদান করতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও কাজের বাজেট আড়াই লক্ষ টাকার উপরে হলেও জিএসটি বাবদ অর্থ প্রদান করতে হবে ১২ শতাংশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জিএসটি প্রদানের ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার নথিপত্র গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করতে হবে। তাদের নথিপত্র ঠিক না থাকলে জিএসটি বাবদ অর্থ তাদের দেওয়া যাবে না।
এদিন শিবিরে আইএসজিপি’র অফিসাররা ছাড়াও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (মহকুমা পরিষদ) পিকে বরদোয়া উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যে নির্মাণ কাজের বাজেট পাঁচ লক্ষ টাকার উপরে হলে ই-টেন্ডার ডাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, শিলিগুড়ি মহকুমায় কোনও কাজের বাজেট এক লক্ষ টাকা হলেই ই-টেন্ডার ডাকার নিয়ম চালু করা হয়েছে। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, উন্নয়নমূল কাজকর্ম নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই পন্থা নেওয়া হয়েছে।