বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, এর আগে অনেককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাই নতুনদের দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের পরিচালনা করবেন কনভেনাররা। পাশাপাশি পুরনো সভাপতিদের যথাযথ জায়গা দেওয়া হবে। সকলে একসঙ্গে কাজ করাই এখন মূল লক্ষ্য। তপনের বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী তৃণমূলের বাচ্চু হাঁসদা বলেন, দলে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। তা মেটানোই এখন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তপন বিধানসভার অন্তর্গত অধিকাংশ অঞ্চল কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মাথায় রেখে নতুন মুখ বাছাই করে অঞ্চল সভাপতির পদের দায়িত্ব দিয়েছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
বালুরঘাট বিধানসভার কনভেনার বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, বালুরঘাট ব্লকের যেই কয়েকটি অঞ্চলে আমার দায়িত্ব ছিল সেগুলিতে সভাপতি পরিবর্তন করেছি। নতুন মুখের পাশাপাশি সাংগঠিকভাবে শক্তিশালী এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করছি নতুন করে আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হবে না।
দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল জেলা ও রাজ্যের নেতাদের দীর্ঘদিন ধরে ভুগিয়ে চলেছে। ২০১১ সালের বিধানসভা ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দল এই জেলায় সাফল্য পেলেও ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয় জেলায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হতে চেয়ে একই আসনের জন্য কোথাও তিন জন, কোথাও চার জন করে মনোনয়ন জমা দেন। অবশেষে জেলা নেতৃত্ব ময়দানে নেমে নিজেদের প্রছন্দের প্রার্থীদের টিকিট দেয়। এই কোন্দলের জেরে পঞ্চায়েতেও দলের ফল খারাপ হয়।
দলীয় তদন্তেই উঠে আসে জেলার নেতাদের অন্তর্কলহের কারণে এই ফল হয়। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বনাম শংকর চক্রবর্তীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলেছে। শুধু জেলা স্তরেই নয় সেই কলহের শিকড় তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই গোষ্ঠী তৈরি হয়। বিপ্লববাবু জেলা সভাপতি থাকাকালীন অঞ্চলের দায়িত্বে যাঁদের বসিয়েছিলেন শঙ্করবাবু জেলা সভাপতির পদ পেয়েই সেই অঞ্চল সভাপতিদের সরিয়ে দেন। পরে আবার বিপ্লববাবু দলের দায়িত্ব পেলে আবার অঞ্চল কমিটিগুলি পরিবর্তন করা হয়। এভাবে গ্রামস্তরেও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ঘুরপাক খেতে থাকে। এভাবে বার বার অঞ্চল সভাপতি পদ পরিবর্তনের কারণে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এখন বিপ্লবাবু দল ছাড়লেও তাঁর প্রভাব তৃণমূলে রয়েই গিয়েছে। তাঁর অনুগামীরা সকলে তাঁর সঙ্গে দলবদল করেননি। তৃণমূলে এখনও বিপ্লববাবুর লোক রয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে শঙ্কর অনুগামীদের বিবাদ এখনও রয়েছে। এই জায়গাতেই আঘাত হানতে চাইছে অর্পিতার নেতৃত্ব।
বালুরঘাটের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রূপক দত্তকে। অমৃতখণ্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবদূত বর্মনকে, চিঙ্গিসপুরে কবিতা মহন্ত মাহাতকে, জলঘরে প্রভাস বর্মনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এঁদের অধিকাংশ দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও কোনও নেতার অনুগামী ছিলেন না। সেই কারণেই তাঁদের তুলে আনা হয়েছে। একই ভাবে অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির অধিকাংশ জায়গায় অঞ্চল কমিটিতে নতুন মুখ নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।