উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষণার কয়েক দিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের এই ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে প্রকাশ্যেই গুটখা বিক্রি হচ্ছে। এসব রুখতে প্রশাসনকে রাস্তায় নামতে হবে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলেন, সরকার গুটখা নিষিদ্ধ করে ভালো করেছে। কিন্তু আমচকা এভাবে নিষিদ্ধ করার আগে কিনে রাখা প্যাকেটই আমরা এখন বিক্রি করছি। যাঁরা ওসব খান তাঁরা একদিনে অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই কেউ কেউ নতুন করে মহাজনের কাছ থেকে গুটখা নিয়ে আসছেন। তাঁরা তাই বেশি দাম নিচ্ছেন। তাই আমরাও ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে ওসব বিক্রি করছি।
এই ব্যাপারে মাথাভাঙার মহকুমা শাসক জিতীন যাদব বলেন, আমরা মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুটখা বন্ধে শীঘ্রই অভিযান শুরু করব। এনিয়ে পরিকল্পনা করে এগতে হবে। পুলিস প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলছি। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ পণ্য কেউ বিক্রি, ব্যবহার করতে পারেন না। আমরা প্রয়োজনে জরিমানা আদায় করব।
তামাক মিশ্রিত গুটখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই রাজ্য সরকার সম্প্রতি গুটখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণ করে। তারপরও মাথাভাঙা শহরে এর বিক্রি বন্ধ হয়নি। সাধারণত পানের দোকানেই গুটখা বিক্রি হয়। কিছু দিন আগেও প্রতিটি দোকানের সামনে বিভিন্ন কোম্পানির গুটখা পাতার পর পাতা ঝুলিয়ে রাখা হতো। সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারির পর কেউ কেউ ওসব সরিয়ে দিলেও বাকিরা এখনও তা ঝুলিয়ে রেখেছে। এককথায় মাথাভাঙা শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে প্রকাশ্যেই গুটখা বিক্রি চলছে। অভিযোগ উঠেছে, কোনও কোনও দোকানদার বেশি দামি নিচ্ছেন। নিষিদ্ধ গুটখা বাজেয়াপ্ত করা সহ বিক্রি করার অপরাধে বিক্রেতাদের প্রশাসন জরিমানা করবে বলে জানিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর মাথাভাঙা মহকুমার কিছু পানের দোকানের সামনে থেকে গুটখা উধাও হয়েছে গিয়েছে। প্রকাশ্যে ওসব না ঝুলিয়ে রেখে যাঁরা চাইছেন তাঁদের বিক্রেতারা দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার দ্বিগুণ দামে ওসব বিক্রি করছেন।