উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মালদহে কনকনে শীতের স্থায়িত্ব খুব কম । ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে জানুয়ারি মাসের গোড়র দিক পর্যন্ত। জেলা কৃষিদপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যানাথ বসু বলেন, উত্তুরে বাতাসের কারণে ভোরের দিকে শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু এখনও সে অর্থে শীত পড়েনি। আমরা আবহাওয়ার দিকে নজর রাখছি। এদিকে নভেম্বর মাস শুরু হয়ে যাওয়ায় মালদহে ভিনরাজ্য থেকে এসে শীতবস্ত্র বিক্রেতারা তাঁদের দোকান বসাতে শুরু করেছেন। কিন্তু ছটপুজোর পরেও শীতের আমেজ নেমে না আসায় শীতবস্ত্রের বিক্রিবাট্টা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তাঁরা। পরিযায়ী শীতবস্ত্র বিক্রেতারা তাই আপাতত জাঁকিয়ে শীত পড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে শীত এখনই আসছে না। শীতের জন্য জেলাবাসীকে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
ইংলিশবাজার শহরের শীত বস্ত্র ব্যবসায়ী জিনিতা তামাং বলেন, আমরা প্রতিবছর নেপাল থেকে প্রচুর শীতবস্ত্র নিয়ে আসি। বিভিন্ন রকম জ্যাকেট ও সোয়েটার বিক্রি হয়। এখনও দোকানে সেরকম বেচাকেনা জমে ওঠেনি। আমরা জাঁকিয়ে শীত পড়ার অপেক্ষায় রয়েছি।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, মালদহে শীতের বাজার এখনও শুরু হয়নি। কেননা এখনও তো মালদহে গরমের আবহাওয়াই রয়েছে। খামখেয়ালী আবহাওয়ার জন্যই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। অন্যান্যবার কালীপুজোর পরেই শীতের আমেজ চলে আসে। সময়ের মধ্যে শীত না এলে, বিশেষ করে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। মালদহে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরের শুরুতে শীতের আমেজ নেমে যায়। অনেক পাতলা পোশাকের বদলে গরম পোশাক পড়তে শুরু করেন। কিন্তু এবছর নভেম্বরের শুরুতেও আবহাওয়ায় গরম ভাব রয়েছে। শীত শীত ভাব নেই। তাপমাত্রার কোনও তারতম্য নেই।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে গত কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। বাতাসে আর্দ্রতা রয়েছে। ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়া বয়ে যাওয়ায় হাল্কা ঠান্ডা ভাব অনুভব করছেন জেলাবাসী। আবহাওয়া বিভাগের দাবি, এধরনের তাপমাত্রা আরও বেশ কিছুদিন চলবে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীত পড়তে শুরু করবে।