বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গাজোল, পুরাতন মালদহের বিভিন্ন রাস্তায় এই ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তাগুলি রাস্তা বরাবর লম্বা বাঁশের এক প্রান্তে ভারী পাথর বেঁধে লিভারের মতো ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। অপর প্রান্ত দড়ি দিয়ে টেনে বাঁশ নামিয়ে পথ আটকে দেওয়া হচ্ছে। আশপাশ থেকে উদ্যোক্তারা ঘিরে ধরে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা নেওয়া হয়ে গেলে দড়ি ছেড়ে বাঁশ উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে চেকপোস্ট।
গাজোল ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সত্যনারায়ণ প্রসাদ বলেন, রাস্তার উপর বাঁশ ফেলে যানবাহন আটকানো বিপজ্জনক। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পুলিস নিষ্ক্রিয় রয়েছে। এনিয়ে তারা গা করছে না। পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্যোক্তাদেরও বোঝা উচিত পুজোর জন্য চাঁদা চাইলে মানুষ এমনিতেই তা দিয়ে থাকে। তারজন্য জোর করার কোনও প্রয়োজন নেই। এবিষয়ে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নুর হক বলেন, এলাকার কোথাও বাঁশের ব্যারিকেড ফেলে চাঁদা তোলা হচ্ছে কি না জানা নেই। এমনিতে রাস্তা থেকে টুকিটাকি চাঁদা নিয়ে থাকে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দক্ষিণ দিনাজপুরের এক পিক আপ ভ্যানের চালক শঙ্কর বল বলেন, গঙ্গারামপুর থেকে গাড়ি নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিলাম। জাতীয় সড়কে যানজট থাকায় গাজোলের গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে নারায়ণপুরের দিকে যেতে একাধিক জায়গায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে চাঁদার জুলুমের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কমপক্ষে পাঁচ জায়গায় চাঁদা দিয়েছি। পুলিসের চোখে এসব পড়ছে না? আমরা গাড়ি ছেড়ে অভিযোগ জানাতে যাব?
দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, বারের পুজো বা বিশ্বকর্মা পুজো সবেতেই রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কালীপুজোর সামনে এনিয়ে যানবাহন চালকেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কোথাও বাঁশের ব্যারিকেড করে, কোথাও বাঁশ, লাঠি উঁচিয়ে রাস্তায় যানবাহন আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। গাজোলের বামনগোলা রোড , নারায়ণপুরের রাস্তার একাধিক জায়গায় এভাবে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এমনকী বাইকচালক, সাইকেল আরোহীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। পুজোর দিন এগিয়ে আসতেই জুলুমবাজি বেড়েছে। রতুয়ার কাহালাতেও রাস্তা আটকে চাঁদা তোলায় গাড়ির চালক থেকে পথচলতি মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পুরাতন মালদহের সদরঘাট থেকে নালাগোলা রাজ্য সড়কে চাঁদার জুলুমবাজি চলছে।