বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, পাশাপাশি দু’টি বাসস্ট্যান্ড থাকায় ওই এলাকায় যানজট হয়। সেখানে টোটো, অটো চলাচলে ছাড় দেওয়া হলে আরও যানজট হবে। সেজন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ আগেই করেছি। তবুও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আরও একবার খতিয়ে দেখব।
কোচবিহারে এনবিএসটিসি’র বাসস্ট্যান্ড ও বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডে যেতে হলে সুনীতি রোড ধরে যেতে হয়। এক্ষেত্রে কোচবিহার রাজবাড়ির গেটের সামনেই টোটো ও অটোগুলিকে আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ডান দিকের রাস্তায় ঢুকে রাজমাতা দিঘির সামনে প্রথম মোড় থেকে বাঁ দিকে ঘুরে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যেতে গেলে নো-এন্ট্রি পয়েন্ট রয়েছে। একইঅবস্থা রাজমাতা দিঘির ধারে অবস্থিত পরের মোড়টিতেও। সেখানেও বাঁ দিকে ঘুরতে গেলে সিভিক ভলান্টিয়াররা টোটো, অটো আটকে দেন।
অপরদিকে কোনও যাত্রী যদি গুঞ্জবাড়ির দিক থেকে বাসস্ট্যান্ডে আসতে চান তাহলেও টোটো আটকে দেওয়া হয়। আবার রাজবাড়ি সংলগ্ন হাউজিংয়ের দিক থেকেও টোটো ঢুকতে দেওয়া হয় না। এরফলে ওই সমস্ত জায়গায় নেমে যাত্রীদের হেঁটে বেশ খানিকটা পথ যেতে হয়। দূরপাল্লার বাসে চাপার জন্য া যেসব যাত্রীরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে অনেক সময়েই মালপত্র থাকে। যেহেতু বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর আগেই নেমে পড়তে হয় টোটো ও অটো থেকে, তাই বাকি দূরত্বটা তাঁদের সেসব ভারী মালপত্র নিয়ে হেঁটেই যেতে হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় প্রখর রোদের মধ্যে রাজবাড়ি বা গুঞ্জবাড়ির দিক থেকে একাধিক ভারী ভারী ব্যাগপত্র নিয়ে যাত্রীরা হেঁটে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছেন। অনেক অসুস্থ ব্যক্তিকেও হেঁটে যেতে হয়। তাই যাত্রীদের দাবি, যাঁরা হেঁটে যেতে সক্ষম তাঁদের টোটো আটকানো হলেও যাঁদের সঙ্গে ভারী ব্যাগ থাকে কিংবা যাঁরা অসুস্থ তাঁদের টোটোয় চেপে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন বহু সময়েই যাত্রীদের কাছে বিভিন্ন প্রমাণপত্র, অসুস্থতার লক্ষ্মণ জানতে চাওয়া হয়। এসব ঘটনায় অনেকেই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে যান। যাত্রীদের দাবি, যানজট সমস্যা মেটানোর জন্য পুলিস বাসস্ট্যান্ডের অনেকটা আগে টোটো আটকালেও বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রয়োজনের ভিত্তিতে টোটো যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম চালু করা উচিত।