বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুধু দুর্গাপুজোই নয়, সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন পুজোর পরে প্রতিমা বিসর্জনের বেশিরভাগটাই হয় শহরের রামকৃষ্ণ মিশন ঘাট এবং সদর ঘাটে। এতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক অরিজিৎ দাস বলেন, নদীর স্বাস্থ্যরক্ষা করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। নদীতে সারা বছর ধরে প্রতিমা নিরঞ্জন হলে বেশকিছু সমস্যা তৈরি হয়। মারাত্মক জল দূষণ হতে পারে। মূর্তি গড়ার ক্ষেত্রে যে রং বা অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করার চল রয়েছে তাতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা বিসর্জনের পরে নদীতে মেশে। পরবর্তীতে রাসায়নিক মিশ্রিত ওই জলের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। একই সঙ্গে একই জায়গায় বারবার নিরঞ্জন হলে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় নদীর নাব্যতাও ব্যাহত হতে পারে।
মালদহের নদী ও জলাভূমির স্বাস্থ্য সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী সুনীল সরকারও বলেন, প্রতিমা নিরঞ্জন ছাড়াও অনেকেই ফুল, ফল এসব নদীতেই ফেলে দিচ্ছেন। বর্ষা ছাড়া অন্যান্য সময়ে মহানন্দার জলস্তর অত্যন্ত কম থাকে। স্রোতও থাকে কম। একই জায়গায় বারবার বিভিন্ন বস্তু জমতে থাকার কারণে নাব্যতা ব্যাহত হয়। সকলেরই এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ। পুরসভা প্রতিমার কাঠামো নদীতে ফেলা বন্ধ করে ভালো কাজ করেছে।
পরিবেশপ্রেমীদের বক্তব্য, মহানন্দার স্বাস্থ্য রক্ষা ও ধর্মীয় বিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন একই সঙ্গে বজায় রাখার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। একই জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন না করে বিসর্জনের ঘাটের সংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে। আবার একটি মহলের বক্তব্য, মহানন্দা নদীর উপরে চাপ কমাতে নির্দিষ্ট কোনও জলা বা বিলেও প্রতিমা বিসর্জন করা যায় কি না তা ভেবে দেখা উচিৎ।
ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নদীর স্বাস্থ্য বাঁচাতে সব মহলের প্রস্তাবই স্বাগত। সকলেই এগিয়ে এলে পুরসভা এবিষয়ে খোলা মনে আলোচনাতে রাজি। আমরা নিজস্ব দল নিয়ে বিসর্জনের সময় একাধিক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা করি। নদী সুরক্ষাও তারমধ্যে একটি। আমরা প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে কাঠামো আলাদা করার বন্দোবস্ত করি। এতে যেমন নদী কম ভারাক্রান্ত হয় তেমনই ওই কাঠামো পরবর্তীতে ব্যবহারযোগ্য থাকে। আমরাও চাই মালদহ শহরের লাইফ লাইন মহানন্দা পরিচ্ছন্ন থাকুক।